বাগেরহাটের শরণখোলায় একটি পরিত্যাক্ত বাড়ী সংলগ্ন কলা বাগান থেকে মাটি চাপা দেওয়া দুটি মৃত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ী এলাকায় হাবিল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির পরিত্যাক্ত বাড়ী থেকে মাটি খুঁড়ে লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা বাগেরহাট ইনফোকে জানায়, গতকাল (সোমবার) বিকেলে উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামে রুস্তম আলীর পরিত্যাক্ত বাড়ির বাগানে ছাগল খুঁজতে যা প্রতিবেশী ইসহাক শেখের স্ত্রী সুফিয়া বেগম। এ সময় তিনি দুর্গন্ধ টের পান এবং দু’টি নতুন কবরের মত চিহ্ন দেখেন এবং প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান।
তবে, সম্প্রতি ওই বাগানে স্থানীয় কোনো মানুষের লাশ দাফন না হওয়ায় ঘটনাটি প্রতিবেশীদের মাঝে সন্দেহ সৃষ্টি করে।পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দুপুরে মাটি খুঁড়ে দুটি লাশ উদ্ধার করে।
ধারণা করা হচ্ছে, ঐ দুজনকে হত্যার পর লাশ গুম করতে বাগানে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের এক জনের বয়স আনুমানিক ৫০-৫৫ বছর হবে। তার মুখের দাড়িতে মেহেদীর রং লাগানো। খালি গা, পরনে লুঙ্গি। নিতম্বে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। অপর জনের বয়স আনুমানিক ৩৫-৪০ বা তার বেশি হতে পারে। তার পরনে ছিলো শুধু একটি আন্ডার প্যান্ট ছিলো। শরীরে বাহ্যিক আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আব্দুস সালেক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ওই দু’জনকে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ দুটে ৪-৫ দিনের পুরনো হতে পারে।
তবে, নিহতদের এবং হত্যাকারীর পরিচয়, হত্যার ধরণ বা কারণ সনাক্ত করা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে আরো সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য পাওয়া যাবে।
মৃতদেহ উদ্ধাররে পর ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, সম্প্রতি হাবিল নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে নিহতদের এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে।যে বাগান থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার মালিক হাবিলের বাবা রুস্তম আলী। তার বাড়িও ওই বাগানের পাশে। হাবিল এখন এলাকায় নেই, বাড়ি ফাঁকা।
তার বিরুদ্ধে ঢাকা, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অপরাধ অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সাউথখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফজলুল হক টুকু বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, হাবিলের বিরুদ্ধে এলাকায়ও একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রায় সময়েই বাড়িতে থাকেন না। এলাকায় ফিরলে তার সাথে অপরিচিত লোক থাকে।
সম্প্রতি তিনি কয়েক জন লোক নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু তারা কখন চলে গেছেন তা এলাকার কেউ জানেন না।