ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে বাগেরহাটে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আজহা।
মুক্তিযুদ্ধের পর এবার প্রথমবারের মতো ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে বাগেরহাটের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় এবং ৯টায় ঈদের প্রধান দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় এখানে।
বাগেরহাট ছাড়াও বাইরের বিভিন্ন জেলা কয়েক হাজার মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
মুক্তিযুদ্ধের আগে ষাটগম্বুজ মসজিদে বাগেরহাটে ঈদের প্রধান জামাত হতো। স্বাধীনতার পর থেকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাগেরহাট শহরের আলীয়া মাদ্রাসা ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত স্থানান্তর হয়।
ষাটগম্বুজ মসজিদে বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মীর শওকাত আলী বাদশা, জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম, জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী, পুলিশ সুপার মো. নিজামূল হক মোল্যাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ষাটগম্বুজ মসজিদের প্রধান ঈদ জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
ভিডিও-
এছাড়া ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান (রহ.) মাজার মসজিদে সকাল সাড়ে ৯টায়, খারদ্বার ইদগাহ ময়দান ৮টায়, নাগেরবাজার খানজাহানীয়া বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদে সাড়ে ৮টায়, শহরের পুরাতন কোর্ট মসজিদে ৮টায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়, পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা ও কোলাকুলি করেন।
ঈদের নামাজের পরপরই শুরু হয় মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি।
দিনটি উপলক্ষে ঐতিহাসিক ষাটগুম্বুজ মসজিদ, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বাসভবনসহ বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোসজ্জ্বা করা হয়েছে। ঈদের দিন দুপুরে বাগেরহাট জেলা কারাগার, সরকারী শিশু সদন এবং হাসপাতালে পরিবেশন করা হয় উন্নতমানের খাবার।