ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এবং মা – ইলিশ রক্ষায় ১১ দিন উপকূলীয় এলাকাসহ সারা দেশে ইলিশ আহরন, পরিবহন ও বিপনন সম্পূর্ন নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
৫ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধ আজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
নিষেধ আজ্ঞা উপেক্ষা করে নদ – নদী ও সাগর মহনায় ইলিশ আহরন, পরিবহন ও বিপনন আইনত দন্ডনীয় বলে গন্য হবে।
আশ্বিনের ভরা পূর্নিমা ইেিশর প্রজনন মৌসুম। এ সময় মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্যে গভীর সাগর ছেড়ে মিঠা পানির নদীতে চলে আসে। মা ইলিশ রক্ষা ও প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে আশ্বিনের আগে ও পরে ১১ দিন ইলিশ আহরনের উপর নিষেধ আজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে, ইলিশ আহরণে নিশেধাজ্ঞার কারনে এরই মধ্যে সাগর থেকে জেলেদের অনেকেই ট্রলার নিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের উপকূলে ফিরে এসেছে।
মৎস্য বিভাগ সুত্রে জনা যায়, কয়েক বছরে সরকারের জাটা নিধন বন্ধে সফলতার কারনে দেশে ইলিশের উৎপাদন কয়েক গুন বেড়েছে। বাজারে সরবরহ ও মূল্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে সরকার ২০১২ সালের জুলাই থেকে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষনা করে। মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী , দেশে ২০০৮ – ০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২ লাখ ৯৮ হাজার মেট্রিক টন। ২০১২ – ১৩ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫১ হাজারমেট্রিক টনে।
মৎস্য বিভাগ আরো জানান , জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাবে বর্ষার মৌসুমের হেরফের হওয়ায় ইলিশের প্রজনন ও উৎপাদন মৌসুমেও হেরফের হচ্ছে। এ জন্য সরকার ১৯৮৫ সালের মৎস্য সংরক্ষন ও সুরক্ষা আইনের কিছু ধারা ২০১১ সালের সেপ্টম্বরে সংশোধন করে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্নিমার ৫ দিন আগে ও ৫ দিন পর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
সংশোধিত আইনে নিশেধাজ্ঞাকালীন এসব কর্মকান্ডের জন্য আটক ব্যক্তিকে ১ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদন্ড এবং কমপক্ষে ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এ কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য ৬ অক্টোবর সকাল থেকে প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম চলবে। যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে।
এ সময় সব বরফকলও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।