শেষ মুহুর্তে এসে জমে উঠেছে বাগেরহাটে কোরবানির পশুর হাট গুলো। এবার বাগেরহাটে ক্রেতারা ঝুঁকছেন দেশী গরুর দিকে।
কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন অধিক মুনাফার লোভে কিছু সংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ী গরু মোটাতাজা করতে বিদেশি জাতের গরুকে বেছে নিয়েছেন। আর গরু মোটাতাজা করতে ব্যবহার করছেন মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন ওষুধ ও খাদ্যসামগ্রী।
চাহিদার সাথেই জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলোতেও দেশীয় জাতের গরু ছিল অনান্য বারের তুলোনায় বেশি। জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কোরবানীর হাটগুলোতে গরু নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা।
বাগেরহাটের কয়েকটি কোরবানীর পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সকল ক্রেতারা দেশী গরু কিনবে বলে প্রত্যশা করছেন। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর গরুর দাম একটু বেশি বলে জানান ক্রেতারা।
বাগেরহাট সদর উপজেলার আনোয়ার হোসেন নামের এক ক্রেতা বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গরু মোটাতাজা করতে ব্যবসায়ীরা যে ধরনের ঔষধ ব্যবহার করছেন তা রীতিমত আতংকের বিষয়। একারনে তারা দেশী গরু কেনার জন্য বিভিন্ন হাটে ঘুরে পছন্দ করে গরু কিনবেন।
তবে জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরেও গরু মোটাতাজা করন চিহ্নিত করন টিম মাঠে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তার।
কোরবানিকে কেন্দ্র করে এবার বাগেরহাট জেলায় মোট ৩৮টি গরুর হাট বসে। এরমধ্যে ১৯টি স্থায়ী এবং ১৯ টি অস্থায়ী পশুর হাট।
হাটগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দেপাড়া বাজার, মুক্ষাইট স্কুল মাঠ, যাত্রপুর বাজার, চুলকাঠি বাজার, খানজাহান আলী মাজার মোড়, কাশিমপুর বাজার, মেগনীতলা হাট, ভদ্রপাড়া খেয়াঘাট, কাফুরপুরা, বেমরতা, হাড়িখালী বালুর মাঠ ও ফতেপুরহাট।
রোববার হাটের শেষ দিন গভীর রাত পর্যন্ত এসব হাটে বেচা-কেনা চলবে বলে জানান বিক্রেতারা।