রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে লুণ্ঠন, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরিত করাসহ একাত্তরে করা নানা মানবতা বিরোধী অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত দল।
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের জামায়াতের এই সিনিয়র নায়েবে আমীরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের দ্বিতীয় দফা তদন্ত শেষে শুক্রবার সকালে তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনিবলেন, শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের এক জন। এছাড়াও তৎকালীন বৃহত্তর খুলনা জেলার শান্তিকমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে লুণ্ঠন, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরিত করাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এসব তদন্তের প্রমাণও মিলেছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল মোড়েলগঞ্জ সন্ন্যাসী এসপি রশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাঠে ৩০/৩৫ জনকে জোর করে রাজাকার বাহিনীতে যোগদান করানোর অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া, ১৭ মে সকালে ইউসুফসহ ৪০/৪৫ জন মোড়েলগঞ্জ বন্দরে অগ্নিসংযোগ ও ৪/৫ শ’ দোকান লুটপাট, ১৯ মে তার নির্দেশে রাজাকার বাহিনী মোড়েলগঞ্জে ৫ জন ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে।
তার বিরুদ্ধে মোড়েলগঞ্জের সীমান্তবর্তী কচুয়া উপজেলা শাখারীকাঠী গ্রামের দুইশ’ লোককে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগও রয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন আরও জানান, তদন্তে একেএম ইউসুফসহ একাধিক রাজাকারের নাম পাওয়া গেছে।
তদন্তের স্বার্থে তিনি তাদের নাম প্রকাশ করেন নি।