বাগেরহাটের ফকিরহাটে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করে এমন কারখানার সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ কালে প্রায় এক জনকে ২ বছরের কারাদন্ড এবং প্রায় ১১শ’ ৫০ কেজি চিংড়ি জব্দ করা হয়।
বুধবার বিকালে বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা মৎস্য আড়ৎ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওইসব চিংড়ি জব্দ করে।
বাগেরহাটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মো. রফিকুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বাগদা ও গলদা চিংড়ি কেনাবেচা করা ঘরে সাগু ও জেলি জাতীয় রাসয়নিক দ্রব্য মিশিয়ে চিংড়ির ওজন বাড়ানো হচ্ছিল এখানে। এমন খবরে অভিযানে যান তারা।
এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক ও শ্রমিক পালানোর সময় শাহ জালাল সরদার নামে কর্মচারীকে ধাওয়া করে আটক করেন তারা।
পরে সেখানের ৮টি আড়ৎ থেকে মোট ১১শ’ ৫০ কেজি চিংড়ি জব্দ করে তারা। এসময় সেখান থেকে গ্যাসের চুলা এবং চট্টগ্রামের ৩টি চিংড়ি রপ্তানিকরাক প্রতিষ্ঠানের সিলও জব্দ করা হয়।
আটক শাহ জালাল চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার কথা স্বীকার করলে তাঁকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর আওতায় দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনি খুলনা মহানগরীর নতুন বাজার এলাকার মৃত আসমত আলী সরদারের ছেলে।
তিনি আরো জানান, জব্দ করা চিংড়ি ধবংস করা হবে এবং অবৈধ ওই সব স্থাপনাও উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আটক শাহ জালাল সরদারের বরাত দিয়ে বাগেরহাট মৎস অফিসের সহকারী পরিচালক লুকাস সরকার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বাজার সংলগ্ন একটি ডোবার উপর গড়ে ওঠা ৮টি দোকানে মোট ৩২ জন এই কাজ করতেন। অভিযান শুরুর আগেও তারা পুশের কাজ করছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ওই আটটি ঘরের মালিক মূলঘর ইউনিয়নের চেয়াারম্যান তৌহিদুল ইসলাম পপলু। তবে পপলু বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘরগুলো তার না।