রামপালে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোন দেশ থেকে কি পরিমাণ কয়লা আনা হবে তা ঠিক করতে পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ পাচ্ছে ভারতীয় একটি কম্পানি।
সূত্র জানায়, ভারতের প্রতিষ্ঠান প্রাইজ ওয়াটার হাউস কোপারস (পিডব্লিউসি) এই পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছে।
এ বিষয়ে আজ সোমবার বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পনি (প্রা.) লিমিটেড প্রাইজ ওয়াটারের সঙ্গে চুক্তি করবে।
কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কয়লার সব বিষয় সমীক্ষা করে পরামর্শ দেবে। কোন দেশ থেকে কম দামের কয়লা আনা যাবে। কোন দেশের কয়লা দীর্ঘদিন পাওয়ার নিশ্চয়তা আছে।
সমুদ্রবন্দর থেকে কোন পথে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পৌঁছানো হবে ইত্যাদি বিষয় এই প্রতিষ্ঠান পর্যালোচনা করবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এর আগে জার্মানির মেসার্স ফিসনার কোম্পানিকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নকশা তৈরি ও দরপত্র আহ্বানের পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের রামপালের এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নকশা ও দরপত্র আহ্বানের কাজ করছে জার্মানির এই কোম্পানি।
২০১৮ সালের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রর প্রথম ইউনিট উৎপাদনে আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন। ২০১৫ সালের শেষের দিকে এই কেন্দ্র স্থাপনের মূল কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য রামপালের এই এলাকার জমি উন্নয়নের কাজ শেষ হয়েছে।
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রামপালের কারণে সুন্দরবনের পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে না। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে এই কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্র থেকে কোনো ছাই উড়বে না।