বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালে সহিংসতার অভিযোগে বাগেরহাটের কচুয়ায় এক বিএনপি নেতাক গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার গভীর রাতে কচুয়া উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের গজালিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সিকদার আজাহার আলী (৫২) কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
গত ৬ মে কচুয়া উপজেলার আবু নাসের মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক খান এমডি শহীদুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় রোববার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরের নির্বাচনের পর তৎকালীন চারদলীয় ঐক্যজোট সরকারের আমলে বিএনপি নেতা সিকদার আজাহার আলী কচুয়া উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। ওই সময়ে তিনি তার দলবল নিয়ে উপজেলার সম্মানকাঠি গ্রামে এসে মহড়া দিলে তা দেখে ভয়ে কলেজের প্রভাষক খান এমডি শহীদুল ইসলামের বাবা সুলতান আলী খান অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এর কিছুদিন পর তার বাবা মারা যান। এই ঘটনায় তিনি ভয়ে ওই সময়ে মামলা করতে পারেননি।
চলতি বছরের ৬ মে কলেজ শিক্ষক খান এমডি শহীদুল ইসলাম বিএনপি নেতা সিকদার আজাহার আলীসহ বিএনপি’র ১৯ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে কচুয়া থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী রেজা বাবু বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে জনপ্রিয় বিএনপি নেতা সিকদার আজাহার আলীর বিরুদ্ধে একযুগ পরে একটি মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।’
অবিলম্বে তিনি ওই মিথ্যা মামলাটি প্রত্যাহার করে তাঁর মুক্তি দাবি করেছেন।