দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া আমৃত্যু কারাদন্ডের রায়ের প্রতিবাদে দলটির দেশ ব্যাপি হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি বাগেরহাট ও মংলা বন্দরে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর ডাকা এ হলতালে এখন পর্যন্ত জেলার কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাভাবিক রয়েছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলা বন্দরে পন্য বোঝাই ও খালাস কাজ। মংলা ইপিজেড ও শিল্পাঞ্চলে উৎপাদন চলছে স্বাভবিক গতিতে।
মংলা বন্দর কর্তপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, মংলা বন্দরে কখনোই হরতালে তেমন কোন প্রভাব পড়েনা। অনান্য দিনের ন্যায় বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
হরতালের ডাক পড়ায় স্টান্ডার্ড প্রাক্টিস অনুযাই বন্দরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এদিনে আগে ভাগে বন্দরে এসেছেন।
এদিকে, নিরুত্তাপ হরতালে অনান্য দিনের ন্যায় জেলা ও উপজেলা শহরগুলেতে স্বাভাবিক ভাবেই চলছে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা। খোলা রয়েছে ব্যাংক-বীমা, অফিস-আদলত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে আভ্যান্তরিন রুটে যান চলাচল করলেও বাগেরহাট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো পরিবহন।
এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার কারণে বাগেরহাটের কোথাও হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবিরের কোনো পিকেটার লক্ষ্য করা যায়নি।
নাশকতা এড়াতে প্রধান প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ এলকায় পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যাপক সতর্কাবস্থায় দেখা গেছে। বিশেষ করে জামায়াত অধ্যুষিত এলাকায় বেশি নিরাপত্তা গ্রহণ করেছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) নিজামুল হক মোল্যা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জামায়াতের হরতালকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলার কোথাও এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হরতালে যেকোন সহিংসতা এড়াতে সতর্কাবস্থায় রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।