হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এ উপলক্ষে বাগেরহাটের পূজা মন্ডবগুলোতে চলছে সাজ-সজ্জা ও প্রতিমা তৈরীর শেষ মুহুর্তের কাজ।
বাগেরহাট জেলা সদরের খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর দূর্গা মন্দিরে ৪০১টি দেবদেবীর প্রতিমা তৈরী করা হচ্ছে দেশের সর্ববৃহত মন্ডব। এছাড়া সদরের কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরে এবছর মোট ২৫১টি দেবদেবীর প্রতিমা দিয়ে তৈরী দূর্গা পূজার মন্ডপ। গত বছর এই মন্দিরে প্রতিমার সংখ্যা ছিল ২০১টি।
এনিয়ে বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫৭১টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা মন্ডপে ভাষ্করা (কারিগররা) রাতদিন ব্যস্ত আছেন প্রতিমা তৈরীর কাজে। মাটির কাজ শেষে রং তুলির কাজ শুরু করেছেন। প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশি পূজা মন্ডপগুলোতে শুরু হয়েছে সাজসজ্জ্বার কাজ। আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে এক ধরনের উৎসব বিরাজ করছে। আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হবে।
সনাতন হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ন ও মহাতারতের বিভিন্ন দেবদেবী নিয়ে হাকিমপুর শিকদার বাড়ীর দূর্গা পূজা মন্ডপে ৪০১টি প্রতিমা ও কাড়াপাড়ার রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরে ২৫১টি প্রতিমা তৈরী কাজ দেখতে এখনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছে। এদুটি মন্ডপের প্রতিমার ভাষ্করা তিন মাস ধরে ওই নিপূণ হাতে তৈরী করেছেন বিভিন্ন দেবদেবীর প্রতিমা।
বাগেরহাটের হাকিমপুর শিকদার বাড়ীতে দেশের সর্ববৃহত দূর্গা পূজা মন্ডপ আয়োজক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী দুলাল শিকদার বাগেরহাট ইনেফাকে জানান, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা নিয়ে তারা এবার বড় দূর্গা উৎসব পালন করা হবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সব শ্রেনীর মানুষ উৎসব উপভোগ করতে বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে আসবে বলে আশা বাদ তার।
কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সাধারন সম্পাদক তাপস কুমার সেন বাগেরহাট ইনেফাকে বলেন, রামায়ণ থেকে এসব দেবদেবীর প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম-এর মাধ্যমে এই দুটি পূজামন্ডপের আয়োজকরা দেশবাসীকে তাদের মন্ডপের প্রতিমা দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সার্বিক দূর্গা উৎসব নিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, জেলার ৯টি উপজেলায় এবছর মোট ৫৭১টি মন্ডবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতি বছরের মত এবছরও জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে
সার্বজনিন দূর্গোৎসবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে ও আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন সকল প্রস্তুতি গ্রহন করেছে।