বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে দুই শিশু সহোদরকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির পাশের একটি ডোবা ও পুকুর থেকে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বারুইখালি ইউনিয়নের পায়লাতলা গ্রাম থেকে পুলিশ শিশু দুটির লাশ উদ্ধার করেছে। ধারনা করা হচ্ছে শিশু দু’টিকে হত্যার পর ঘাতকরা লাশ ঘুম করার উদ্দেশ্যে পাশের একটি ডোবা ও পুকুরে ফেলে দেয়।
শিশু দুটির নাম- মিরাজুল হাওলাদার (১১) ও রিয়াজুল হাওলাদর (৮)। তারা ওই এলকার বাবু হাওলাদরের ছেলে।
স্থানীয়রা শিশু দুটির দাদী রওশন আরা বেগমের (৬০) বরাত দিয়ে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, পায়লাতলা গ্রামে তার দুই নাতী মিরাজুল ও রিয়াজুল বৃহস্পতিবার রাতের খবার শেষে তার সাথে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে প্রতিবেশী মৃত বারেক মৃধার লম্পট প্রকৃতির ছেলে বাচ্চু মৃধা (৪০) ওই বাড়িতে আসে।
প্রথমে সে ভাত খেতে চায়। কিছুক্ষন পরে বৃদ্ধা রওশন আরা বেগমকে জুসের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অজ্ঞান করে ফেলে।
এর পর নাতী মিরাজুল ও রিয়াজুলকে হত্যা করে ঘরের পিছনের পুকুরে অপরজনকে ঘরের সামনে ডোবায় ফেলে রাখে।
সকালের পর প্রতিবেশিরা মিরাজুল ও রিয়াজুলের লাশ ভাষতে দেখে তার দাদী ও স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ এসে দুুপুরে লাশ দু’টি উদ্ধার করে।
এব্যাপারে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আমলাম খান বিকাল শোয়া ৪টায় ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। প্রাথমিক সুরতহালে নিহত দুই শিশু সহোদরের মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনাটি হত্যা কান্ড বলে মনে হচ্ছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এ নিয়ে গত ১০ দিনের মোরেলগঞ্জে পৃথক ৩টি ঘটনায় ৪ জন হত্যাকাণ্ডে স্বীকার হল। গত ৩ সেপ্টেম্বর খুন হন জিউধরা গ্রামে আ. লীগ নেতা মোজাম্মেল শিকদার (৬০), ১০ সেপ্টেম্বর উত্তর জামিরতলা গ্রামের খুন হয় তরুনী গৃহবধূ তমালিকা বেগম (১৯) এবং সর্বশেষ এই দুই সহোদর হত্যার ঘটনা ঘটলো।