বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তমালিকা বেগম (১৯) নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে নিহতের স্বামী।
বুধবার সন্ধ্যায় মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকেল ৩টার দিকে নিহতের স্বামী মানিক কাজীর (২৫) তমালিকাকে হত্যা করে।
নিহত তমালিকা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর জামিরতলা গ্রামে লুৎফর রহমানের মেয়ে।
নিহতের পরিবারের সূত্র জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলার পল্লীমঙ্গল গ্রামের মৃত রশিদ কাজীর ছেলে মানিক কাজীর সাথে ৬ মাস পূর্বে তমালিকার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মোটা অংকের যৌতুক দাবীর কারণে চরম কলহ দেখা দেয় তমালিকা ও মানিকের সংসারে।
সে কারনে তমালিকা গত দেড় মাস ধরে জামিরতলা গ্রামে পিতার বাড়িতে অবস্থান করছিল।
নিহতের মা আলেয়া বেগম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তমালিকার স্বামী মানিক কাজী গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে ওই বাড়িতে আসে। বুধবার দুপুরে তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। বিকালে বাড়ি ফিরে কারো কোন সারা শব্দ না পেয়ে খোজাখুজি করে খাটের নিচে মেয়ে তমালিকার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
নির্জন ঘরে মেয়ে তমালিকাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে তার জামাই খাটের নিচে লাশ রেখে পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ তার।
এব্যাপারে মোরেলগঞ্জ থানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, খরব পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। ঘটনায় পর থেকে নিহতের স্বামী মানিক কাজী পলাতক রয়েছে।