দীর্ঘ আপেক্ষার পর অবশেষে মৌসুমের শেষ ভাগে এসে কাটছে ইলিশের আকাল।
সুন্দরবনের নদ-নদীসহ বঙ্গোপসাগর উপকূলে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে শুরু করেছে কাংখিত রূপালী ইলিশ। ফলে উপকূলের জেলে পরিবারগুলোতে বইতে শুরু আনন্দের বন্যা।
ফিরছে কর্মচাঞ্চল্য। হাসি ফুটেছে আড়ৎদার, পাইকার থেকে শুরু করে মৎস্য শ্রমিকদের মুখেও।
সুন্দরবনসহ উপকুলের জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ ধরার মৌসুম হলেও মৌসুমের অনেকটা সময় পর্যন্ত জেলেদেও জালে ইলিশ ধরা পড়েনি। মৌসুমের শেষ সময় এসে বঙ্গোপসাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালী ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করে। উপকূলের মৎস্য বন্দর ও আড়ৎগুলোতে ইলিশ আসতে শুরু করেছে।
এদিকে সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন মৎস্য বন্দরগুলোর ব্যস্ততা বেড়েছে। এতদিনের অলস সময় কাটিয়ে মৎস্য শ্রমিকরা ইলিশ মাপা, ঝুড়ি তৈরি করা ও তা ট্রাকে তোলা নিয়ে এখন মহাব্যস্ত।
আড়ৎদার-পাইকাররা ট্রাক ভর্তি এসব ইলিশ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করার জন্য পাঠাচ্ছেন। তবে মৎস্য বন্দরগুলোতে ইলিশ আসতে শুরু করলেও দাম এখনও আকাশ ছোয়া।
মৎস্য ব্যাবসায়ীরা দাবী করেছেন, এভাবে ইলিশের সরবরাহ অব্যাহত থাকলে ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে দাম ক্রাতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে।
এব্যাপারে উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গত বছর গড়ে প্রতিদিন ১ হাজার থেকে ২ হাজার মণ ইলিশ বেচা-কেনা হতো বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য বন্দর কেবি বাজারে। এ বছর এতোদিন ২০ থেকে ৩০ মণের বেশি ইলিশ আসেনি।
শনিবার থেকে কম-বেশি ৫ থেকে ৭শ‘ মন ইলিশ আসতে শুরু করেছে। তবে, সাগর থেকে ইলিশ ধরা পড়ার যে খবর তারা পাচ্ছেন তাতে আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই উপকূলের মৎস্য বন্দরগুলো গত বছরের অবস্থায় ফিরে পাবে বলে আশাবাদ তার।