প্রযুক্তি আর প্রযুক্তির কল্যানে অবাদ তথ্য প্রবাহ এবং এক অন্যরকম বিপ্লব বোধ হয় শুরু হয়ে গেছে। তাই না হলে কে কবে ভেবেছে বাংলার কৃষক তার কৃষি ভাবনা, সমস্যা বা উত্তরনের পথ খুঁজতে ইন্টারনেট বা প্রযুক্তির সহায়তা নিবে। কিম্বা কৃষি সমস্যার বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা খুঁজবে অনলাইনে।
কে ভাববে বা কেউ ভেবেছিল কি না তা তে হয়তো খুব একটা কিছু যায় আসেনা। কারন ভাবনার সে গন্ডি আর বাধা তারা আরো আগেই পার করেছেন। না এটা কোন কল্পনা বা সাহিত্যের অংশ নয় এটা বাস্তবতা, এটাই সত্যি।
সত্য বলতে আমি নিজেও কিছুটা বিস্মৃত হয়েছি। গতকাল রাতে যখন আমর মুঠোফোনে ফোন আসলো তখন সময় রাত ১১টা ১২ মিনিট। পরিচয় দিলেন তিনি একজন কৃষক, মাছ চাষ করেন। নাম গোবিন্দ, বাড়ি-কেশবপুর। আমার কাছ থেকে একটা সাহায্য চান। আমি তো প্রথমে অবাক আমার নাম্বার তিনি কোথায় পেলেন বা আমি কিভাবে তার উপকারে আসতে পারি।
ভালো কথা, তিনি জানালেন Bagerhatinfo.com এ চিংড়ি চাষ নিয়ে তিনি একটি লেখা পড়েছেন। ইদানিং তার এলকার কয়েটি চিংড়ি ঘেরে ভাইরাসের লক্ষন দেখা যাচ্ছে। তিনি এব্যাপারে “আধুনিক পদ্ধতিতে গলদাচিংড়ি চাষ” শির্ষক ওই লেখাটার লেখক ওয়ার্ল্ডফিস (এআইএন) এর সিনিয়র টেকনিক্যাল স্পেশিয়ালিষ্ট মো: নাজমুল আলম এর সাথে যোগাযোগ করতে চান। তাই তার ফোন নাম্বার যদি তকে দেওয়া সম্ভব হতো।
সত্য বলতে আমি রিতিমত থমকে গেলাম। সেই সাথে নিজের ভেতরও একটা ভালোলাগা কাজ করছিল। আমার কাছে সেই মুহূর্তে নাজমুল আলম সাহেবের নাম্বর না থাকায় আমি থাকে বললাম এই মুহূর্তে তো আমর কাছে তার নম্বটা নাই। তখন তিনি বললেন, কাল যদি আপনি একটু নাম্বার টা আমাকে সংগ্রহ করে দিতেন খুব উপকৃত হতাম। তখন কথা দিলাম আগামীকাল আমি আপনাকে তার নম্বর সংগ্রহ করে দিব।
কথা মতন রোববার ওই অফিসের একজনের কাছ থেকে নাজমুল আলম সাহেবের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাকে ফোন দিলাম। পরে ম্যাসেজ দিয়ে নাম্বারটা দিলাম। একটু পরে আবারও গবিন্দ (কৃষক) সাহেবের ফোন। ভাই নম্বরটা পয়েছি। অনেক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, বাগেরহাট ইনফো আমি সবসময় দেখি। এটা তো শুধু আমাদের বাগেরহাট নিয়ে- খুব ভালো লাগে। তখন আমি তাকে বলি চাইলেও আপনিও এখানে আপনার বা পারনার পরিচিত কেউ চাইলে এখানে লেখা দিতে পারেন। হ্যু বলে সম্মতি জানিয়ে তিনি বললেন, জি আপনারা তো বাগেহরাটের অনেক কিছু তুলে ধরছেন। দর্শনিয় স্থান, সংবাদ, কখন কি ঘটে। অনেক ধন্যবাদ।
তাকেও ধন্যবাদ জানালাম। সেই সাথে ভালোলাগছিল নিজের মাঝে। ভাবছিলাম হয়তো সে সেতুবন্ধনের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এখন শুরু এগিয়ে যাবার গল্প।
আর, এমন টাই তো চায় বাগেরহাট ইনফো ডটকম!