ভোট বিহীন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী অবৈধ্য এ সরকার জনগনের উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। তারা এখন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েমে মিডিয়ার কন্ঠরোধ করতে কালো নিতিমালা প্রনয়ন করেছে।
শুধু মিডিয়া নয় তারা বিচারবিভাগকে নিয়ন্ত্রন করতে অভিশংসন আইন পাশ করতে চাচ্ছে। যা গনতান্ত্রিক ও আইনের শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবে।
বাগেরহাটে ২০ দলীয় জোটের প্রতিনিধি সভায় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমান একথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরেরর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বর্তমান সরকারের তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা’ অভিহিত করে তিনি বলেন, এ ছাগলেরর তিন নম্বর বাচ্চা এক সময় আওয়মী লীগের সব থেকে বেশী সমালোচনা করতো। ক্ষমতার লোভে মত্ত ইনুকে দিয়ে শেখ হাসিনা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের বিরদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
১৯৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত এই বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি ছিল প্রশ্ন করে ৯০এর স্বৈরচার বিরোধী গন আন্দোলনের অন্যতম এ নেতা বলেন, এই বাংলাদেশের জনগনের কোন নিরাপত্তা ছিল না। ওই সময়ে সাংবাদিকদের লেখনির স্বাধীনতা ছিল না। সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়ে মাত্র চারটি চালু রেখে ছিলেন। সকল রাজনৈতক দল বন্ধ করে দিয়ে মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ছিল বাকশাল। মানুষের কথা বলার অধিকার ছিলনা, যেমনিভাবে আজকে নেই।
আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গনতন্ত্রে প্রবক্তা। তিনি এদেশকে স্বনির্ভর করতে চেয়েছিল। খালাদে জিয়া ও তারেক রহমান সেই এজেন্ডা বাস্তবায়নে যখন আত্মনিয়োগ করে দেশের জনগনের মনি কোঠায় স্থান করে নেয়। তখন শেখ হাসিনা সরকার জিয়া পরিবারকে উৎখাত করতে নেমে পড়ে।
অনুষ্ঠানে আগত নেতা-কর্মীদের শেখ হাসিনার এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবব্ধ থেকে আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালামের সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের প্রতিনিধি সভায় অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরিদ, জাগপার সাধারন সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোকেটিক লীগের সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খুলনা মহনগর জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদ, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহসভাপাতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, মুজিবুর রহমান, আলী রেজা বাবু, হাদিউজ্জামান হিরো, মেহেবুবুল হক কিশোরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা।