পাওনা টাকা আদায়ের জন্য বাগেরহাটের শরণখোলায় এসে রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে মাসুদ হোসেন (৩৫) নামের এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর।
উপজেলা সদরের পিংকি আবাসিক হোটেলে বৃহসাপতিবার রাত্রিযাপনকালে তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
নিহত মাসুম হোসেন নারায়নগঞ্জের মেসার্স মাসুদ টেক্সটাইলের মালিক। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দরজী গ্রামের আবুল হাসেমের ছেলে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ওই আবাসিক হোটেলের তৃতীয় তলার ১৪ নম্বর কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আব্দুস ছালেক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, নারায়ণগঞ্জের কাপড় ব্যবসায়ী মাসুদ হোসেন এবং তার সম্পার্কে মামা একই উপজেলার দাইরাধি গ্রামের নূরুল হক মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ বৃহস্পতিবার শরণখোলায় আসেন।
৩-৪ বছর আগে স্থানীয় (শরণখোলার) আবুল কালাম আজাদ ওরফে কালাম ফরেষ্টারের নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে পাওনা ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা আদায়ে শুক্রবার সকালে শালিস বৈঠকের কথা থাকায় তিনি তার সম্পর্কে মামা নূর মোহম্মদ (৩৪)কে নিয়ে শরণখোলায় আসেন। ওইদনি রাতে তারা মামা-ভাগ্নে দু’জনে পিংকি হোটেলের একই কক্ষে অবস্থান করেন।
কিন্তু শুক্রবার সকালে সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাগ্নেকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে হোটেলের ম্যানেজারকে খবর দেন তিনি। পরে হোটেল ম্যানেজার সাহাবুদ্দিন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে হোটেল থেকে মাসুদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওসি আরো জানান, এঘটনায় তার সফরসঙ্গী (মাসুম হোসেনের মামা) নূর মোহাম্মদ (৩০) ও হোটেল ম্যানেজার সাহাবুদ্দিন ফকিরকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
লাশের প্রাথমিক সুরত হাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোন আঘাত বা জখমমের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এসম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছেনা।
মৃত্যুর খবর নারায়ণগঞ্জে তার পরিবারের কাছে জানানো হয়েছে। এব্যাপারে শরণখোলা থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।