বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পাগলা-শ্যামনগর এলাকায় “ক” তপসীলভুক্ত সরকারি জমির ভেতর একটি বিনোদন কেন্দ্র (পার্ক) চালুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার আট্টাকী গ্রামের মোল্লা হুমায়ুন কবির পাগলা-শ্যামনগর এলকায় “রুপনগর রিসোট” নামে একটি পার্ক নির্মান করেন। পার্কের এই জমির মাঝে ৩২নং পাগলা-শ্যামনগর ও ৩৩নং মৌজার ভিপি লীজ-কেসভুক্ত (বর্তমানে “ক” তপসীলভুক্ত) জমিও অবৈধ্যভাবে ঘিরে নেয় পার্কের কর্তপক্ষ।
এমন অভিযোগর ভিত্তিতে গত ২৭ জুলাই উপজেলার খড়রিয়া অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র দাস তাদের কয়েকজন স্টাফ নিয়ে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে “ক” তপসীলভুক্ত জমিতে পার্ক না করার জন্য নির্দেশ দেন। এসময় উপস্থিত কর্মকর্তাগন পার্কের “ক” তপসীলভুক্ত জমির বিভিন্ন স্থানে লাল পতাকাও টাঙ্গিয়ে দেন।
এসময় সহকারী ভুমি কর্মকর্তা পার্ক পরিচালক মোল্লা হুমায়ুন কবিরকে সরকারি জমি সনাক্ত না হওয়া পর্যন্ত পার্কের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেন।
তবে, গত ২৯ জুলাই পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উৎসব উপলক্ষ্যে এদিন সকলে পার্কটি উন্মুক্ত করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, পার্ক উন্মুক্ত থাকা অবস্থায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ভূমি অফিসের লাল পতাকা সরিয়ে ফেলে। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুনরায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও উঠানো স্থানে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে দেন বলে জানায় সূত্রটি।
উল্লেখ্য, অবৈধ্যভাবে “রুপনগর রিসোট” নামে একটি পার্ক নির্মানে অভিযোগে গত ২৩ জুলাই সরেজমিন তদন্তের পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের নিকট একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন খড়রিয়া অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র দাস। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্য মোতাবেক নির্মানধীন পার্কের মধ্যে শ্যামনগর ও সাতশিকা মৌজার “ক” তফসীলভুক্ত ৯ (ফ) ৮৫-৮৬, ২৫ (ফ) ৭৯-৮০, ৬৭ (ফ) ৭২-৭৩, ৫৪ (ফ) ৭৭-৭৮ নং লীজকেসভুক্ত জমি রয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত লীজকেসভুক্ত জমি নির্মানাধীন পার্ক মালিক মোল্লা হুমায়ুন কবির এখনো পর্যন্ত ইজারা গ্রহন করেননি বলেও উল্লেখ করা হয়ে।
এদিকে, প্রশাসনকে উপেক্ষা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী ছাড়া পার্কটি উন্মুক্ত করলেও স্থানীয় প্রশাসন পার্ক কর্তিপক্ষের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এর সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।