বাগেরহাটের ফকিরহাটে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিপংকর মন্ডল (২৮) নামে চিংড়িঘের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয়রা ঘের মালিক দেবাশীষ বিশ্বাসের ছেলে ঝংকার বিশ্বাসকে (১৬) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত দিপংকর মন্ডল ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মডাঙ্গা গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার নলধা মৌভোগ ইউনিয়নের ব্রক্ষ্মডাঙ্গা গ্রামের ঝংকার বিশ্বাস তাদের চিংড়ি ঘেরে বসে ওই ঘেরের কর্মচারী দিপংকরকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ী মারপিট করলে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়।
পরে পাশের ঘেরের লোকজন দিপংকরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নলধা মৌভোগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মহসিন রাতে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে দিপংকর মন্ডল প্রতিবেশি দেবাশীষ বিশ্বাসের চিংড়িঘেরে কর্মচারী হিসাবে কাজ করে আসছে। ২-৩ দিন আগে ঘেরের কর্মচারী দিপংকরের শোবার ঘর থেকে তাঁর জমানো ৩ হাজার টাকা হারিয়ে যায়। এঘটনায় ওই ঘের মালিকের ছেলে ঝংকার ওই টাকা নিয়েছে বলে সন্দেহ করে বিষয়টি দু’য়েক জনের সঙ্গে বলাবলি করে দিপংকর।
একথা ঝংকার জানতে পেরে ক্ষুব্দ হয়ে সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মৌভোগ বিলের ঘেরে গিয়ে দিপংকরকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
পরে সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এস আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘের মালিকের ছেলে ঝংকার তাদের ঘেরের কর্মচারী দিপংকরকে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ঝংকার বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।