বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আব্দুর রব শেখ (৪১) নামে এক ব্যক্তিকে প্রহার করে দুই পায়ের রগ কেটে এবং একটি চোখ খুঁচিয়ে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার ভোররাতে উপজেলার পঞ্চকরন ইউনিয়নের খারুইখালী পূর্বপাড়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আব্দুর রব শেখ পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর এলাকার আশরাফ আলী শেখের ছেলে।
তিনি কয়েক বছর আগে মোরেলগঞ্জের ফুলহাতা গ্রামের সাইজুদ্দিন শেখের মেয়েকে বিয়ে কে সেখানে বসবাস শুরু করেন। দু’ তিন বছর ধরে তিনি খারুইখালী গ্রামের জনৈক জাহান শেখের বাড়িতে থেকে একটি চিংড়ি ঘের পরিচালনা করতেন।
ঘটনার রাতে সন্ত্রাসীরা জাহান শেখের বাড়ি থেকে তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়।
বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে সংরক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, আব্দুর রব শেখ নিষিদ্ধ চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির (এম.এল. জনযুদ্ধ) স্বক্রীয় সদস্য এবং এই সংগঠনের এক সময়কার বাগেরহাট অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডার আলী হোসেনের (পরে নিহত) সার্বক্ষনিক সহযোগী ছিলেন।
তবে তার বিরুদ্ধে খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলের কোন থানায় কোন মামলা আছে কি না সে বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই।
উপজেলার পাঁচগাঁও পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল আজিজ শনিবার দুপুরে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, হামলাকারীরা তাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে তারা রবের দুই পায়ের রগ কেটে দেয় এবং ডান চোখ খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে খারুইখালী পূর্বপাড়া গ্রামে রাস্তার উপর ফেলে যায়।
খবর পেয়ে তার শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়রা এসে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান। তবে হামলাকারীদের পরিচয় জানাতে পারেনি তিনি।
এদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র এবং রব শেখের স্বজনেরা জানায়, উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়নে দীর্ঘ দিনের ঘের বিরোধের জের ধরে রব শেখের প্রতিপক্ষ ঘের সন্ত্রাসী ও অস্ত্রবাজ খারইখালী গ্রামের টিটু শরীফ এর নেতৃত্বে এক দল সন্ত্রাসী এ হামলা চলায়।
তবে সন্দেহ করা হচ্ছে যে, হামলাকারীরা স্থানীয় এবং পূর্ব শক্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো: আসলাম খান বলেন, আব্দুর রবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সে এখন কোথায় চিকিৎসা নিচ্ছে তা আমরা জানি না। থানায় এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করতে আসেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।