ঈদুল ফিতরের আগের রাতে বাগেরহাটে ৩শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক প্রাইভেট কারের ব্যাপারে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
ঈদের আগের রাতে সোমবার ৩শ’ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি প্রাইভেট কার আটক করে পুলিশ। তবে এ সময় ফেনসিডিল আমদানীকারক বা বিক্রেতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এ ঘটনায় পর দিন পুলিশ বাদি হয়ে মঙ্গলবার বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ঢাকা থেকে একটি সাদা প্রাইভেট কারযোগে বিপুল পরিমান ফেনসিডিল আসছে গোপনে এমন খবর পেয়ে বাগেরহাট মডেল থানার এসআই মোঃ ইমান আলী একদল পুলিশ নিয়ে শহরের নুর মসজিদ মোড়ের অদুরে অবস্থান নেয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে খুলনার দিক থেকে আসা একটি সাদা প্রাইভেট কারকে ফলো করতে শুরু করে তারা।
এ সময় প্রাইভেট কারের (মেট্রো গ-১২-১৫৬১) চালকসহ দু’জন দশানী এলাকার পৌর পানির ট্যাংকির কাছে প্রাইভেট কারটি ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ প্রাইভেট কারটি তল্লাশি করে এর পিছনে রাখা ৩০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এঘটনায় অবৈধভাবে আনা ওই ফেনসিডিল বহনের দায়ে মামলার আলামত হিসাবে প্রাইভেট কারটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পরের দিন মঙ্গলবার বাগেরহাট মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমান আলী বাদী হয়ে প্রাইভেট কার চালক মোরেলগঞ্জের ফুলহাতা এলাকার আঃ কুদ্দুস হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার (৩০) ও বাগেরহাট শহরতলীর দশানী এলাকার নয়ন (২৫) এর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনের বিরদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী এসআই ইমান আলী জানান, ৩০০ বোতল ফেনডিলসহ সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারটি আটক করা হয়েছে। তবে চালকসহ গাড়ীতে থাকা অন্যরা এসময় পালিয়ে গেছে।
তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, ঐ রাতে ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের বারাকপুর এলাকার ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পার্কের সামনে থেকে পুলিশ ও র্যাবের সহযোগীতায় শহরের এক প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীসহ ৩ জনকে পুলিশ আটক করে।
এ সময় তাদের স্বীকারোক্তি মতে ৬’শ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। পরে রহস্যজনক কারণে ওই আটককৃত প্রভাবশালীদের নাম-পরিচয় গোপন করে ও বিশেষ সুবিধার বিনিময়ে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে শহরের পানির ট্যাংঙ্কির নিকট থেকে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রচার করে পুলিশ।