সড়ক দূর্ঘটনার পর একটি পরিবহনের চালক ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করায় বাগেরহাটের দুই উপজেলায় চলছে অঘোষিত দুরপাল্লার পরিবহণ ধর্মঘট।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা হয়ে চলাচলকারী দুরপাল্লার সকল যাত্রী পরিবহনে অনিষ্টিকালের জন্য এ ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
এদিকে হটাৎ করে এ ধর্মঘটের ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন ঈদ শেষে কর্মস্থালগামী যাত্রীরা।
জানা গেছে, গত ২৩ জুলাই মোরেলগঞ্জের দোনা নামক স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় একটি মটর সাইকেল চালক মিরাজ (২২) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এর দু’দিন পর খুলনায় চিকিৎসাধীন ওই দূর্ঘটনায় আহত আরো এক আরহী হোসেন মাহমুদ মারা যান। ওই দুর্ঘটনার জন্য শরণখোলার রায়েন্তা থেকে ঢাকাগামী দুবাই পরিবহন (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৬১৬৮) বাসটিতে ভাংচুর করে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছে।
এর জের ধরে বাগেরহাট জেলা বাস মালিক সমিতি ঈদের পর দিন (বুধবার) মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থেকে দুরপাল্লার সকল যাত্রী পরিবহন যাতায়তের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
তবে, পিরোজপুর হবে এবং বাগেরহাট থেকে চলাচলকারী দুরপাল্লার সকল পরিবহণ সাভাবিক ভাবে চলালচ করছে।
মোরেলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, দূর্ঘটনার পর পুলিশ পরিবহনটির চালক আলীম হাওলাদার (৩০) ও সুপারভাইজার লিখন (২৫) গ্রেপ্তার করে। একই সাথে পুলিশ ওই পরিবহন এবং ক্ষতিগ্রস্থ মটর সাইকেল দুটিও আটক করেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং গাড়ীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ফলে মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামগামী পরিবহনের প্রতিদিন প্রায় ২০টি গাড়ির যাত্রা বন্ধ রয়েছে। একই শরণখোলা থেকে সরাসরী খুলনাগামী বিআরটিসি পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
ঈদের একদিন পরেই বাস মালিক সমিতির এমন সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার কয়েক হাজার কর্মজীবী মানুষ। যথাসময়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়ে তারা এখন শংকিত।
দূরপাল্লার পরিবহনের জন্য এই দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষকে এখন অতিরিক্ত খরচ করে লোকাল বাসে ২ থেকে ৩ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে বাগেরহাট বা সাইনবোর্ড়ে পৌঁছাতে হবে। আর ঈদে অগ্রীম টিকিট করে রাখা এবং যাত্রীর চাপ থাকায় কর্মস্থলে পৌঁছান নিয়ে সঙ্কায় এসব যাত্রীরা।
এদিকে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলার পরিবহন কাউন্টার ম্যানেজারা জানিয়েছেন, আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত দূরপাল্লার পরিবহনের প্রায় ২০ হাজার অগ্রীম টিকিট বিক্রি করেছেন তারা।