২০১৮ সালের ডিসেম্বর নাগাদ বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
ভারত-বাংলাদেশ দু-দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার এক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছে, কলকাতা ভিত্তিক ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।
২০১১ সালের অক্টোবরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন লিমিটেডের (এনটিপিসি) সমান অংশীদারিত্বে একটি কোম্পানি গঠন করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেইন্ডশিপ (‘মৈত্রী’) পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড নামে এই প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটের রামপালে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
এনটিপিসির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবারের বৈঠকে দুই দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরেই যাতে মৈত্রী বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারে, সে বিষয়ে জোর দেন তারা।
পরিবেশবাদীদের আপত্তির পরও গত বছর মে মাসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনের কাছে রামপালে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এনটিপিসি কর্মকর্তারা জানান, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১.২ থেকে ১.৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে এবং এটি চালাতে বছরে দরকার হবে ৪৮ লাখ টন কয়লা।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলামের সভাপতিত্বে এনটিপিসি চেয়ারম্যান অরূপ রায় চৌধুরী ও উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।