আল-আমিন তালুকদার (২৬)। রায়েন্দা টু চট্টগ্রাম রুটের রিফাত গাড়ির সুপারভাইজার। গাড়ির সুপারভারউজার থাকার সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ইয়াবা ব্যবসার প্রলোভনে পড়েন তিনি।
পুঁজি কম খাটিয়ে লাভ বেশী লাভের প্রলোভনের ব্যবসাটা তাকে খুব আকৃষ্ট করে।
এভাবে গাড়ির সুপার ভাইজার থাকার আড়ালে একসময় হয়ে ওঠেন ইয়াবা ব্যবসায়ী। চট্টগ্রাম থেকে সস্তায় ইয়াবার চালান সংগ্রহ করে তা ছড়িয়ে দিতেন বাগেরহাটসহ দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলে।
সপ্তাহ খানেক আগে আল-আমিন মংলার সামছুর রহমান রোডের এক যুবককে ইয়াবা কেনার অফার দিয়ে বলেন- ইয়াবা খাবি কিনা বল। পিচ ৫শ টাকা করে পড়বে। লাগলে বলিস। কিন্তু পাশেই যে ছিলো মাদত নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্স।
ব্যাস, এরপর থেকে মাদক নিয়ন্ত্র অধিদপ্তর তার পিছু নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে ইয়াবাসহ হাতেনাতে আটক হয় সে।
মংলায় মাদক নিয়ন্ত্র অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাফরুল আলম বাগেরহাট ইনফে ডটকমকে বলেন, আল-আমিন গাড়ির সুপারভাইজার থাকার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায় গ্যাং তৈরি করে ফেলেছেন।
গত এক সপ্তাহ ধরে খোঁজ খবর নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার কিছু পরে মংলার সামছুর রহমান রোডের জনৈক আফজাল সরদারের বাড়ি থেকে ১৭৫ পিজ ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক করা হয় তাকে।
এব্যাপারে মংলা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলোয়েত হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, মাদক নিয়ন্ত্র অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাফরুল আলম বাদী হয়ে আল-আমিনের বিরুদ্ধে মংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে ওই মাদক ব্যবসায়ীকে বাগেরহাট জেলা কারগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আটক আল-আমিন তালুকদার বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা গ্রামের মো. ইউসুফ তালুকদারের ছেলে।