বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবন সংলগ্ন ভোলা নদীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক ‘বনদস্যু’ নিহত হয়েছে।
রবিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে ভোলা নদীর পূর্ব পাড়ে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, নিহত নমির তালুকদার (৩৮) নিজের নামে দস্যু বাহিনী গঠন করে সুন্দরবনে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন।
নমীর বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের অর্জুনবহর গ্রামের সুলতার আলী তালুকদারের ছেলে।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নমির সুন্দরবনের “রেজাউল ওরফে শীর্ষ বাহিনী”র অন্যতম সদস্য ছিলেন। বাহিনী প্রধান রেজাউল র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাবার পর তিনি ওই দল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের নামে বাহিনী গঠন করে সুন্দবনে দস্যুতা শুরু করেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবদুস সালেক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহযোগিতায় সদর উপজেলার অর্জুনবহর বাজার থেকে নমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“এরপর জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে নিয়ে ভোরে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে ভোলা নদীর পূর্ব পাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে যায় পুলিশ। সেখানে গেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা তার (নমিরের) সঙ্গীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়ে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।”
আধা ঘণ্টা ধরে দুই পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে নমির পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে ওসি জানান।
পরে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এসময় পুলিশের এসআই গাজী ইকবাল হোসেন ও একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও চারটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওসি আরো জানান, ‘নমির-ছমির বাহিনী’র প্রথান নমিরের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালি ও মৌয়ালদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তার নামে খুলনার দাকোপ, বাগেরহাট মডেল ও শরণখোলা থানায় হত্যা, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির অন্তত আটটি মামলা রয়েছে।