ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এরই মধ্যে জমে উঠেছে বাগেরহাটের ঈদ বাজার।
ঈদে সবার প্রথম পছন্দ নতুন কাপড়। আর তাই ঈদকে ঘিরে দেশি-বিদেশি কাপড়ের পশরা সাজিয়ে বসেছেন বাগেরহাটের ব্যবসায়ীরা।
শিশু থেকে বৃদ্ধ কিম্বা তরুণ-তরুণী পছন্দ আর দামের দিক বিবেচনায় বৈচিত্রময় ডিজাইনে বাহারী নামের পোশাকের সম্ভার শহরের এক একটি দোকানে। রেডিমেট গার্মেন্ট পোশাকের পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের নিজাইন ও কাপড়ে পোশাক তৈরীতে ঝোক লক্ষ করা গেছে বাগেরহাটের ক্রেতাদের মধ্যে।
১৫ রোজা পার হওয়াতে এরই মধ্যে শহরের বেশির ভাগ ট্রেইলারি দোকান গুলো বন্ধ করে দিয়েছে নতুন কাপড়ের অর্ডার গ্রহণ। আর যারা এখন অর্ডান নিচ্ছেন আগামী ২০ রেজার পর থেকে কোন প্রকার অর্ডার নেওয়া সম্ভব হবেনা বলে বলছেন তারা।
সরজমিনে বাগেরহাটের ঈদ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবছর ছেলেদের তুলোনায় মেয়েদের পোশাকের চাহিদা বেশি। আর দামের ব্যাপারে গত বছর গুলোর তুলোনায় এবার সব ধরনের পোশাকের মূল্যই আগের চেয়ে বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
বিক্রেতারদের সাথে কথা বলে জান গেছে, এবার বাগেরহাটের ঈদ বাজারে দেশি কাপড়ের চেয়ে ভারতীয় কাপড়ের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ীরাও ভারতের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে প্রচুর।
এবার তরুণীদের প্রথম পছন্দ “পাখি” থ্রি-পিস আর তরুণদের পছন্দ টিস্যু কাপড়ের শার্ট, প্যান্ট ও জিন্স প্যান্ট ও রেডিমেট পোশাক।
শহরের চারু ফ্যাশান এর সত্বাধীকারী অমিত বিশ্বাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এখন পর্যন্ত বাজারে ভারতীয় সিরিয়ালের নায়িকা পাখির পরিধানের পোশাক ‘পাখি থ্রি-পিস’ নামে পরিচিত থ্রিপিচের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ছাড়া ল্যাগিনস সেট, লংপাটি ফ্রগ, আশিকি ওয়ান, আশিকিটু, ঝিলিক, মেজেককালী প্রভৃতি নামের হরেক রকমের থ্রিপিস এসেছে।
ছিট কাপড়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা সুতি ছাপা, দেশি লোন, টিস্যু কাতান ছিটের। তরুণদের বেশি পছন্দ টিস্যু কাপড়ের প্যান্ট, টিস্যু শার্ট, ফব টাচ ইত্যাদি।
তবে এসব কাপড়ের দাম ও মান নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে আছে ভিন্ন মত।
দেপাড়া এলকার ফারহানা আক্তার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, গত বছরের তুলোনায় প্রতিটি শাড়িতে এবার ১০০ থেকে ৮শ, হাজার টাকা বেশি দাম চাইছেন বিক্রেতারা। শড়ি ছাড়াও অনান্য সব কাপড়ের মূল্যই আগের চেয়ে অনেক বেশি।
শহরের কাপুড়ের পট্টির রাবেয়া গার্মেন্টের রিফাত রাসুল পিয়াস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, গত বারের তুলনায় এবার পোশাকের দাম কিছুটা বেশি হলেও ঈদের বেচা-কেনা এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। পাখি ড্রেস সর্বনিম্ন ১৫’শ থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মূলত ২০ রোজার পর থেকেই বাগেরহাটের ঈদ বাজার পুরোপুরি জমে উঠবে বলে আশাবাদ জানান এই বিক্রেতা।
আর পোশাকের বাজারের পাশাপাশি এরই মধ্যে জমে উঠেছে বাগেরহাটের জুতা- স্যান্ডেল ও কসমেটিক্স দোকান গুলোর বেচা-কেনা।