পূর্ণিমার প্রভাবে পানগুচি নদিতে পানি বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে গেছে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সদর বাজার ও গোটা পৌরসভা।
মৌসুমী বায়ু ও পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহরের সকল সড়ক দিয়ে বইছে এখন পানির স্রোত। কোন কোন সড়ক চলে গেছে দু’ফুট পানির নিচে।
শনিবার দুপুরে সরোজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলা সদর ছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রাম।
গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে- কুমারখালী, সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, গাবতলা, কাঠালতলা, পাঠামারা, বদনীভাঙ্গা, সানকিভাঙ্গা, বড়বাদুরা, বারইখালী, শ্রেণিখালী, শোনাখালী, পঞ্চকরণ, ঘসিয়াখালী, বহরবুনিয়া, ফুলহাতা।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে পূর্ণিমা এবং আমাবস্যা সময় প্রতিদিন জোয়ারে দিনে দু’বার প্লাবিত হয়েছে উপজেলার এসব এলাকা। শতশত কাঁচা ঘর ও নদী তীরবর্তী নিচু এলাকার বসতবাড়ি গুলো পড়েছে ঝুকির মধ্যে।
জোয়ারের সময় এসব এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও গৃহপালিত পশু, প্রাণী ৫/৬ঘন্টার জন্য পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে অনেক হাস-মুরগী। কিছু আবার আশ্রয় নিয়েছে ঘরবাড়ি ও গাছ পালায়।
অন্যদিকে, জোয়ারের ফলে বন্ধ থাকছে মোরেলগঞ্জ সদর বাজারের প্রায় পাঁচশতাধীক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেচা-কেনা। ফলে চলতি ঈদ মৌসুমে চরম বিপর্যয়ে পড়েছেন এখান কার ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় স্বচেতন মহলের দাবি, শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় এভাবে পানির সাথে লড়াই করেই বেঁচে থাকতে হচ্ছে মোরেলগঞ্জের কয়েক হাজার পরিবারকে।
তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছে পরিস্থিতির শিকার এ অঞ্চলের কয়েক লাক্ষ সাধরন মানুষ।