বাগেরহাটের ফকিরহাটে সর্বত্র এখন চুরি আতংক। চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে এর মাধ্যমে উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরির ঘটনা।
দিন দিন এসব চুরির ঘটনা বৃদ্ধির সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে অচেতন রোগীর সংখ্যা। ফলে ফকিরহাটের সর্বত্র চলছে এখন চুরি আতংক।
সবশেষ গত শুক্রবার (১১ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলা কাঠালতলা এলাকায় একটি বাড়ীতে চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে এর মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতকারীরা। এতে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই পরিবারের পাঁচ জন।
এরা হলেন- আবুল হোসেন পবন (৬০), তার স্ত্রী নাছিমা বেগম (৫০), পুত্রবধূ রিমা বেগম (২২), পোতা কিবরিয়া (২০) ও শ্যালিকা নাসরিন খাতুন (১৭)।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আমান উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, এ ঘটনায় প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র ও মালামাল নিয়ে গেছে দুষ্কৃতচক্রটি।
অপরদিকে গত ১০ জুলাই রাতে উপজেলার সাতশৈয়া গ্রামের একটি বাড়ীতে চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে করে স্বর্নালংকার, নগদ টাকাসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নুরমোহম্মদ মোল্লা (৭৫), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫), পুত্র রাসেল মোল্লা (৩০) ও কাজের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (১৬)।
এছাড়াও গত ১৮ জুন গভীর রাতে মূলঘরের শেখ ওলিয়ার রহমান নামে এক অধ্যাপকের বাড়ীর গ্রীল কেটে ঘরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও অন্যান্য জিনিসপত্রসহ প্রায় দুই লক্ষাধীক টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
জানা যায়, চেতনানাশক ঔষধ স্প্রে মাধ্যমে একই ভাবে দুষ্কৃতকারীরা ৪ জুন রাতে মূলঘরের সালেক কাজির ভাড়াটিয়া সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষিকা বাবলিনা খাতুনের বাসায়, ১৩ মে একই এলাকার সেলিম কাজির বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে।
এলাকার স্বচেতন মহলের দাবি, বর্তমানে বিভিন্ন এলাকায় জুয়ার আসর, মাদক বিকিকিনির পাশাপাশি চুরি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে নিরিহ জনগন পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।