পূর্ণিমার প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। প্রবল ঢেউয়ের কারণে সাগরে জাল ফেলতে পারছেনা ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেরা।
শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন নদী ও খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। বনবিভাগ ও মৎস্য সমিতি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা খালেও আশ্রয়ে থাকতে দেখা গেছে বেশকিছু ট্রলার।
জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলার সভাপতি মো. আবুল হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সাগরে এখন প্রচন্ড ঢেউ। একারনে অধিকাংশ ট্রলার পাথরঘাটা, মহিপুর ও শরণখোলাসহ নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছে। প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে যেসমস্ত ট্রলার মাছ ধরছিল সেগুলোও সাগর ছেড়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী ও খালে আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো জানান, ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই একদিকে সাগরে দস্যুদের উৎপাত। অন্যদিকে কয়েক দফা বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে জাল ফেলতে না পেরে মহাজন ও জেলেরা কিছুটা হতাশায় পড়েছেন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. কামাল আহমেদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারনে ইলিশ ধরা ট্রলারগুলো সুন্দরবনের কচিখালী, সুপতি, শ্যালা, দুবলা, নারকেলবাড়িয়াসহ বনের ছোট ছোট খালে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, পূর্ণিমার কারনে উপকূলীয় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। শরণখোলাসহ উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পূর্ণিমার কারনে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার, বান্দাঘাটা, রাজৈরসহ অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা। এছাড়া, বেড়িবাধের বাইরে ইরি ও আমনের বীজতলা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেলেও বেড়িবাধের ভেতরে তার কোনো প্রভাব পড়ে নি। বাইরের কিছু এলাকায় বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।