বিশ্বের সর্ববৃহত ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনে সব ধরনের মৎস্য সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ হচ্ছে। এজন্য সুন্দরবন উপকূলের জেলা বাগেরহাটের ৩০ হাজার জেলেকে পেশাগত পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে মৎস্য আহরণ কাজে নিয়োজিত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের বিষয়ে চিন্তা করছে সরকার। সেক্ষেত্রে পেশাগত এ পরিচয়পত্র জেলেদের নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণে সহায়তা করবে।
রোববার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ‘ফরমালিনের ব্যবহার রোধ ও জলাশয় সংরক্ষণে সচেতনতা’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল।
মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক লোকাস সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, কোয়ালিটি এ্যান্সুরেন্স্য অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম, বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এবিএম মোশারফ হোসাইন, আহসানুল করিম, দেলোয়ার হোসেন, বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী, আলী আকবর টুটুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরো জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীদের পরিবেশ বান্ধব জাল, বিকল্প কর্মসংস্থান ও খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় আনার দাবীগুলোর বিষয়ে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অবিলম্বে এ সকল বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহন করা হবে।
বনবিভাগের হিসাব অনুযায়ী সুন্দরবন থেকে প্রতিবছর ১৫ হাজার মেট্রিকটন সাদা মাছ, প্রায় ৪ হাজার মেট্রিকটন চিংড়ি ও কাঁকড়া ও ৮শ মেট্রিকটন রুপালী ইলিশ আহরণ করে থাকে। এই বনে রয়েছে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া।
অনুষ্ঠানে জানান হয়, বাগেরহাট জেলায় ৩০ হাজার মৎস্যজীবী ও ৭৩ হাজার ঘের ব্যবসায়ী মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত রয়েছে।