পূর্ব সুন্দরবনে শরনখোলা রেঞ্জে কোস্টগার্ড ও বনদস্যু “নয়ন বাহিনী”র মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে শরণখোলা রেঞ্জের বগী ফরেষ্ট স্টেশনের চান্দেরশ্বর ক্যাম্পের কাতলার খাল এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।
এসময় নয়ন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ডার ইয়াসিন ও সুমনে গুলিবিদ্ধসহ তিন দস্যুকে আটক করে কোস্পগার্ড। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১টি পাইপগান, ১টি ইয়ারগান, ১টি শটগান ৩৯১ রাউন্ড তাজা গুলি, ২টি দা, ১টি কুড়ালসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে কোস্টগার্ড সূত্র জানিয়েছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ ও পশ্চিম জোনের সদস্যরা যৌথ অংশগ্রহনে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
আটককৃতরা হলেন, পাথরঘাটা উপজেলার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে “নয়ন বাহিনী”র সেকেন্ড ইন কমান্ড গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন আলী (২৮), একই উপজেলার পদ্মাস্লুইস এলাকার ফারুক মোল্লার ছেলে গুলিবিদ্ধ সুমন (২৪) ও ট্যাংরা এলাক্রা ছালাম মিস্ত্রির ছেলে কাওসার (৩০)। গুলিবিদ্ধ দু’০জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার এম আরিফ হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, সুন্দরবনের কাতলার খাল এলাকায় স্যু নয়ন বাহিনী অবস্থান করছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে বুধবার ভোর রাতে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের কোচিখালী ও সুপতি স্টেশনের সহায়তায় অভিযান চালায়।
কোস্টগার্ড সদস্যরা ওই এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকে সেখানে থাকা দস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় কোস্টগার্ডও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধা ঘন্টা ধরে চলে এ বন্দুকযুদ্ধ। একপর্যায় দস্যুরা আস্তানা ছেড়ে পিছু হটলে কাওসার নামের এক দস্যুকে তারা জীবীত ধরে ফেলে। পরে ইয়াছিন ও সুমনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, দস্যুদের আটকের পর তাদের আস্তানাটি ধ্বংসরে ফেলা হয়েছে। এসময় সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও দস্যুদের ব্যবহৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আটক তিন ৩ দস্যু, অস্ত্র, গুলি ও মালামাল পাথরঘাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। চলতি ইলিশ মৌসুমে দস্যু দমনে তাদের এ অভিযান অব্যাহ থাকবে বলে জানান কোস্টগার্ডের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।