দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলার সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক নৌরুট ঘষিয়াখালী-মংলা চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপালের কালিগঞ্জ-ডাকরা পয়েন্টে ড্রেজিং কাজের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার।
পলি পড়ে গত তিন বছরে এই চ্যানেলের ২২ কিলোমিটার ভরাট হয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক এই নৌরুটটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মংলা বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরসহ প্রতিবেশী দেশ ভারতে পণ্য পরিবহনের জন্য সুন্দরবনের ভিতরের ১১০ কিলোমিটার নৌরুট ব্যবহার করা হতো।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত প্রথম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিআইডব্লিউটিএ এই চ্যানেলটির ভরাট অংশ খনন কাজ শুরু করেছে। এজন্য প্রাথমিকভাবে বিআইডব্লিউটিএ নিজস্ব পাঁচটি ড্রেজার দিয়ে কাজ করছে। এ কাজে প্রায় একশ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
খনন কাজের উদ্বোধন শেষে বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান ড. মো. শামছুদ্দোহা খন্দকার সাংবাদিকদের জানান, চার মাসের মধ্যে এ খনন কাজ সম্পন্ন হবে। খনন কাজের দ্বিতীয় ধাপে আরও দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে দরপত্রের মাধ্যমে ছয়টি ড্রেজার দিয়ে ঠিকাদারদের দিয়ে এই চ্যানেলটির অবশিষ্ট খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে।
তিনি আরো জানান, ২২ কিলোমিটার এই নৌপথের তিনশ মিটার চওড়া ও ৩০ মিটার গভীরতায় খনন কাজ সম্পন্ন করা হবে। ফলে একদিকে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় ও বিশ্ব ঐহিত্য সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্যের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান আরো জানান, আগামী নয় বছরের মধ্যে দেশের ভরাট হয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ৫৩টি নদী খনন করে নৌ-চলাচলের উপযোগী করা হবে। এতে করে দেশে ১২ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সচল হবে। এরই অংশ হিসেবে সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভরাট অংশও খনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিআইডব্লিউটিআইএর প্রকৌশলী ফিরোজ আহম্মেদ, প্রধান প্রকৌশলী (ড্রেজিং) আব্দুল মতিন, নৌ-সংরক্ষণ ও পরিবহন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন, বন্দর ও পরিবহনের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (প্রকৌশল বিভাগ) মো. কামল হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইদুর রহমানসহ বিআইডব্লিউটিএ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ অর্থবছরে মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক এ নৌরুটে ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমারখালী নদীর রামপাল সদর অংশে ড্রেজিংয়ের পর তা ভরাট হয়ে যায়।