প্রচন্ড গরমের পরে স্বস্তির বৃষ্টি হলেও একটানা ভারী বর্ষণের ফলে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্রাবিত হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে স্বস্তির বৃষ্টি এখন দেখা দিয়েছে জনদূর্ভোগের কারণ হয়ে।
টানা চার দিনের শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোন কোন এলাকায় বসত বাড়ি ও দোকানপাটে পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই জলাবদ্ধতার কারনে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। উপকূলে আশ্রে পড়ছে প্রচন্ড ঢেউ। ফলে রোববারও মংলাসহ দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া দপ্তরের এক সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু প্রবল থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হযেছে।
এদিকে, টানাবৃষ্টি এবং দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মংলায় জাহাজে পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজ।
অপরদিকে অব্যহত বষ্টিতে সকাল থেকে বাগেরহাট শহরের সাধণার মোড়, পুরাতন বাজার, খারদ্ধার, ভিআইপি রোড, নাগেরবাজার, বাসাবাটি ও মিঠাপুকুর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা।
এছাড়া জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, রামপাল ও মংলা উপজেলারঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাগেরহাট বাজারের ব্যবসায়ী বাবুল সেখ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে রাস্তা ডুবে তাদের অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেছে। বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে না পারায় আমাদের সমস্যা হচ্ছে।
দিনমজুর চাঁন মিয়া বাগেরহাট ইনফোকে জানান, ‘আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। রান্নাবান্নার কাছ বন্ধ রয়েছে। আমাদের অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই’।
শহরের বিশিষ্ট জনরা বলছেন, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া নদী-খাল গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার কারনে পানি নেমে যেতে পারছে না।
স্বচেতন মহলের মনে করনে, কতিপয় প্রভাবশালী লোকজনের কারণে পৌরসভার অভ্যন্তরের দখলে সংকুচিত হয়ে পড়া খাল গুলো দ্রূত উদ্ধার এবং নগরবসীর জন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরী করতে না পারলে এ সমস্য থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
এব্যাপারে বাগেরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তালুকদার এ বাকী বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, পানি পানি নিষ্কাশনে পৌরসভার কিছুটা দূর্বলতা রয়েছে। তবে অচিরেই জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।