অকাল প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকীকে কবির জন্মস্থান বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মিঠাখালীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে।
দিনটি স্মরণে শনিবার সকালে কবির গ্রামের বাড়ী মিঠাখালীতে রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে শোক র্যালি বের কারা হয়।
প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে শোক র্যালিটি মিঠাখালী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করে।
এছাড়া সকালে কবির জন্মস্থানে তার প্রয়ণ দিবসে মিলাদ মাহফিল ও দোয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিকে দিনটি স্বরণে শনিবার সন্ধায় মিঠেখালিতে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে কবি রুদ্র স্মরণে আলোচনা ও রুদ্র সংগীত অনুষ্ঠানের আয়জন করা হচ্ছে।
এতে সংগীত পরিবেশন করবে রুদ্রের হাতে গড়া সংগঠন “অন্তর বাজাও” ও স্থানীয় শিল্পীরা।
মাত্র ৩৫ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবনে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনা করেন ৭টি অত্যুজ্জ্বল কাব্যগ্রন্থ-‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’(১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭), ‘গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’(১৯৯০)।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন। এছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন।
তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক, প্রেম ও দ্রোহের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সবার কাছে তার সঙ্গীতের জন্যও সমান ভাবে জনপ্রীয়। তার রচিত ও সুরারোপিত ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’, ‘আমার ভিতর বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে’-সহ অসংখ গান দুই বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়।
আজকের এই বিশেষ দিনে কবির প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।