প্রচ্ছদ / খবর / মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আরো এক আসামী গ্রেপ্তার

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আরো এক আসামী গ্রেপ্তার

Akram-Hosain-khanআর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর অভিযুক্ত মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক এক আসমীকে রাজশাহী থেকে গ্রেপ্তার করেছে বাগেরহাট পুলিশ।

বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহী মহানগরের নওদাপাড়া এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খান মোহাম্মাদ আকরাম হোসেনকে (৬০) গ্রেফতার করে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানা ও রাজশাহী পুলিশের একটি যৌথ টিম।

গ্রেফতারকৃত আকরাম হোসেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের দৈবজ্ঞহাটি গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদিন খানের ছেলে।

শুক্রবার সকালে বাগেরহাট পুলিশ তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত আকরাম হোসেন খানের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার শাঁখারীকাঠি বাজারে একসাথে ৪২ জনকে হত্যা, বাজার লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে। ইতিহাসে ঘটনাটি শাঁখারীকাঠি গণহত্যা নামে পরিচিত।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলে ২০০৯ সালে নিমাই চন্দ্র দাস নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বাদী হয়ে রাজাকার আকরাম হোসেন খান ও আব্দুল লতিফ তালুকদারসহ ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে বাগেরহাটের আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল তাদের আমলে নেয়।

শাঁখারিকাঠি গণহত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, “১৯৭১ সালের ৫ মে আকরাম ও লতিফ তালুকদারসহ ২০/৩০ জন সশস্ত্র লোক কচুয়া উপজেলার শাঁখারিকাঠি বাজারে নিরীহ লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ৪২ জনকে হত্যা করে।”

তিনি জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাগেরহাটে করা ৬৩টি মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে রামপাল উপজেলার ডাকরা গণহত্যা, কচুয়ার শাঁখারিকাঠি গণহত্যাসহ কিছু মামলা গত বছরের ২১ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে চলতি মাসের ১০ জুন আদালত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করে। আদালতের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা হাতে পেয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।

এব্যাপারে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, ১০ জুন আন্তর্জতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আকরাম হোসেন খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করলে তিনি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। তিনি রাজশাহীতে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন এমন গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল গতরাতে সেখানে যায়।

রাতে রাজশাহী মহানগরের অন্তত ৬টি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে রাত আড়াইটার দিকে তাঁর এক নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

এরআগে একই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১১ জুন ভোরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া ইউনিয়নের সোলারকোলা গ্রাম থেকে আব্দুল লতিফ তালুকদারকে (৬৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০ জুন ২০১৪ :: স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।
এসআই হকনিউজরুম এডিটর/বিআই

About Inzamamul Haque