মাত্র দেড় মিনিটের টর্নেডোর ছোবলে বাগেরহাটের দুটি ইউনিয়নের ৬টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ও যাত্রাপুর ইউনিয়নে আঘাত হানে এ টর্নেডো।
এতে উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কোমরপুর এবং বারুইপাড়া ইউনিয়নের সুতাল, আড়পাড়া পাইকপাড়া, কোধলা, বারুইপাড়াসহ ৬টি গ্রামের কমপক্ষে ১০ টি বসত বাড়ী সম্পূর্ণ বিধস্ত হয়েছে। এসময় প্রাণ হানির কোন ঘটনা না ঘটলেও ঘরবাড়ী, ফসল ও গবাদিপশু মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তাৎক্ষনিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা সম্ভব না হলেও প্রায় কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ক্ষতিগ্রস্থদের।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন ওই সব গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, টনেডোর আঘাতে গ্রামগুলোর বসত ছাড়াও পোল্ট্রি খামার, গোয়ালঘর, পানের বরজ, সবজি ও ফসলের ক্ষেত এবং বড় বড় গাছ পালা উপড়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়ে আছে। সেখানকার একাধিক ঘরের টিনের চাল, এমনকি সিলিং ফ্যানও গাছের সাথে ঝুলতে দেখা গেছে।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছেন বাগেরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান মুজিবর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএফএম এহতেশামূল হক। তাঁরা জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিররুপণের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্থদের দ্রুত সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে বলেও জানান তারা।
ক্ষতিগ্রস্থ বারুইপাড়া গ্রামের শেখ আঃ জব্বার ও খায়রুন্নেছার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, রাতে টর্নেডোর ছোবলে মূহুর্তে বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে। অনেক বসত ঘর লন্ডভন্ড হয়।
এদিকে, শনিবার জেলার শরণখোলায় বজ্রপাতে তানভীর হোসেন (১৭) নামের এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত তানভীর উপজেলার ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নের চার রায়েন্দা গ্রামের মজিবর মীরের ছেলে। তানভীর স্থানীয় দারুল হেদায়েত নেছারুল উলুম ফাজির মাদরাসায় দশম শ্রেণিতে পড়তো।