বাগেরহাটের রামপালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহকারী এক শিক্ষিকাকে মারপিট করেলেন এক আ. লীগ নেতা।
শনিবার দুপুরে এঘটনা ঘটে।
মারপিটের শিকার গুরুতর আহত শিক্ষিকা খাদিজা ইয়াসমিন (৪৫)কে চিকিৎসার জন্য রামপাল থেকে খুলনা মেডিকেলে প্রেরন করা হয়েছে।
তবে, অভিযুক্ত রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এদিকে ওই শিক্ষিকাকে মারপিটের সময়ে তার স্বামী রবিউল ইসলাম খোকন (৫০) ঠেকাতে গেলে তাকেও ওই ইউপি চেয়ারম্যান মারপিট করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত খাদিজা ইয়াসমিন রামপাল উপজেলার বড়কাঠালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।
ভুক্তভোগী পরিবারটি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০১৪ এর সভাপতি সুব্রত কুমার শিকদারকে অবহিত করেছেন।
এব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত ওই আ’লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যাযান বাবুলের সাথে যোগাযোগ কারা হলে শিক্ষিকাকে মারপিট করার কথা অস্বীকার করেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে তিনি বলেন, অন্য একটি গ্রাম্য শালিস নিয়ে শিক্ষিকার স্বামী রবিউলকে দুটো চড় মেরেছি। ওই সময় ওই শিক্ষিকার ধাক্কা লাগতে পারে।
স্কুল শিক্ষিকা খাদিজা ইয়াসমিনের ছোটভাই ও রামপাল উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির যুগ্ন সম্পাদক শামীম মোড়ল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ইউপি চেয়্যারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল স্থানীয় মজীদ মীর নামের এক ভোটারের স্থান পরিবর্তনের জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজে নিয়োজিত শিক্ষিকা খাদিজাকে নিদেশ দেয়। এ বিয়য়ে ওই শিক্ষিকা চেয়ারম্যানকে তার সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে ভোটার তালিকা স্থানান্তর করার ক্ষমতা নির্বাচন অফিসের জানিয়ে তাকে নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে চেয়ারম্যান শিক্ষিকার স্বামীর দোকানে ঢুকে খাদিজাকে কিল ঘুষি ও লাথি শুরু করেন। একপর্যায়ে স্ত্রীকে বাঁচাতে স্বামী রবিউল এগিয়ে আসলে তাকেও বধড়প মারপিট করেন চেয়ারম্যান।
এ সময় শিক্ষিকা খাদিজা ইয়াসমিন দৌড়ে পাশ্ববর্তী রেজাউলের বাড়িতে গেলে সেখানে ঢুকে চেয়্যারম্যান পূনরায় মারপিট করে বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে রামপাল উপজেলা নির্বাচন অফিসার বজলুর রশিদ জানান, মারপিটের ঘটনার খবর তিনি শুনেছেন। তবে, এবিষয়ে ওই শিক্ষিকার কোন লিখিত অভিযোগ পান নি।
এঘটনায় সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত রামপাল থানায় কোন অভিযোগ করা হয় নি বলে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী দাউদ হোসেন।