প্রথমে ১২ হাজার পরে ৭ হাজার টাকা দিছি। এর পর যে নাম্বারে টাকা দিছি সেই নাম্বারটা বন্ধ!
৬০ লাখ টাকাসহ বিকাশের মংলাস্থ জোনাল এজেন্ট মেসার্স লাক্সমি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যাবস্থাপক শাহিন আহত অবস্থায় উদ্ধারের খবর এবং চিকিৎসার ঘটনা ব্যাখা কনতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে শনিবার সন্ধ্যায় এ কথাগুলি বলেন।
শনিবার সকাল থেকে শাহিনকে পাওয়া গেছে বলে খবর চাউর হয়।
হারুন অর রশিদ জানান, শনিবার দুপুরের দিকে কুমিল্লা থেকে বিজিবি মেজর দিদার পরিচয় দিয়ে একাটি ফোন আসে বাগেরহাট পুলিশের কাছে। ফোনে তিনি বলেন শাহিনকে পাওয়া গেছে । সে কুমিল্লার কোট বাড়ি এলাকার বিজিবি ক্যাম্পের কাছে পালাতে গিয়ে একটি প্রাইভেটকার ও ট্রাকের সংঘর্ষে আহত হয়েছে। পরে বিজিবি তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপতালে ভর্তি করেছে। তাকে চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজন। এরজন্য টাকারও প্রয়োজন।
এরপর ০১৮৬৪৬৭৬৮৩১ নাম্বরটি দেয়া হয়। ওই নম্বরে শনিবার দুপুর ২টার দিকে প্রথমে ১২ হাজার তার আধঘন্টা পরে ৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর আর নাম্বারটি খোলা পাওয়া যায় নি।
এছাড়া ওই মেজর যে হাসপাতালের কথা বলেছেন সেখানে শাহিনের ভাইকে পাঠানো হয়েছে কিন্তু কোন হাদিস মেলেনি। খবরটি ভূয়া!
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোড়ে ব্রাক ব্যাংক বাগেরহাট শাখা থেকে ৬০ লাখ উত্তরনের পর টাকাসহ বিকাশের মংলাস্থ জোনাল এজেন্ট মেসার্স লাক্সমি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের ব্যাবস্থাপক শাহিন নিখোঁজ হন। শাহিন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাটি অপহরণ নাকি আত্মগোপন তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
পরে শুক্রবার মেসার্স লাক্সমি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী হারুন অর রশিদ এ ব্যাপারে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় ব্যাবস্থাপক শাহিনসহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তবে, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের ধারণা আত্মসাত করতে নিজে গা ঢাকা দিয়েছেন শাহিন।
শাহীন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পুঁটিখালী ইউনিয়নের ভাটখালী গ্রামের সুলতান হাওলাদারের ছেলে। শাহীনের ভাই সেলিম হাওলাদারের দাবি, তার ভাইকে ওই টাকাসহ দুর্বৃত্তরা অপহরণ করেছে।