বাগেরহাটের মংলা সমুদ্র বন্দরে জাহাজ থেকে মাল খালাসের সময় ক্রেনের তার ছিড়ে দুই বন্দর শ্রমিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কতৃপক্ষ।
মংলা বন্দরে পরিচালক প্রশাসক হাওলাদার জাকির হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমেকে শ্রমিক নিহতের ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
তিনি জানান, বন্দরের প্রধান নীরিক্ষা কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শরিফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৪ সদাস্যের একটি তদন্ত কামিটি গঠন করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত শেষে যত দ্রুত সম্ভব কমিটি তার রিপোর্ট পেশ করবে।
বুধবার সকাল পৌনে ৯ টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া বেজ ক্রিক-৩ এলাকায় অবস্থানরত এম.ভি. হ্যান জিং (HANGIN) নামে হংকং এর পতাকাবাহী একটি জাহাজে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের টালী ক্লার্ক মো. জাকির (৩৫) এবং ফোরম্যান আব্দুল মতিন (৫২)। তাদের বাড়ি মংলা পৌরসভা এলাকায়।
মংলা সমুদ্র বন্দর সূতে জানা গেছে, পশুর নদীতে অবস্থানরত এম.ভি. হ্যান জিং (HANGIN) নামে হংকং এর পতাকাবাহী জাহাজটি আমদানীকৃত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ (মেশিনারী টুলস) নিয়ে জাহাজটি গত ৮ জুন মংলা বন্দরে আসে। দুর্ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে জাহাজে মালামাল খালাস কাজ।
জাহাজের পণ্য খালাসে আমদানীকারক নিয়োজিত স্টিভেডরস (শ্রকিম টিকাদার) নূরু এণ্ড সন্সের স্বত্তাধিকারী এইচ এম দুলাল বাগেরহাট ইনফো ডটকমেকে জানান, বুধবার সকালে ১২-১৩ জন শ্রমিক ওই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস কাজ শুরু করে। পৌনে ৯টার দিকে আকস্মিক পণ্যবাহী জাহাজটির একটি ক্রেণের সিলিং ভেঙে পড়লে ফোরম্যান মতিন ক্রেণের নীচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় জাকির নামে আর এক শ্রমিককে মংলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পথে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে খালাস কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
মংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বেলায়েত হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, খবর পেয়ে মংলা থানা পুলিশেল একটি দল ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেছে।
এ ব্যাপারে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর হাবিবুর রহমান ভূইয়া দুপুর আড়াইটায় বাগেরহাট ইনফো ডটকমেকে জানান, ঘটনাস্থল বন্দরের মূল জেটি থেকে নৌপথে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে। ঘটনা সম্পর্কে জেনে পরিস্থিতি জানার জন্য সেখানে লোক পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠণে বন্দরে পরিচালক প্রশাসক হাওলাদার জাকির হোসেন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দূর্ঘটনার জন্য কারো অবহেলা বা পণ্য খালাসে আমদানীকারক নিয়োজিত এজেন্টের কোন ত্রুটি ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয় হলে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এদিকে এধরণের একটি দুর্ঘটনার হলেও এবিষয়ে বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ঐ জাহাজে কর্মরত স্টিভেডরসের পক্ষ থেকে ঘটনাটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তবে এ অভিযোগ প্রসঙ্গে স্টিভেডরস নূরু এণ্ড সন্সের স্বত্তাধিকারী এইচ এম দুলাল এ প্রতিবেদককে বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষকে ঘটনা জানানো একটি রুটিন কাজ। কিন্তু সমস্যা দ্রুত নিরসনে এবং লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশকে ঘটনা সম্পর্কে আগে জানানো হয়। সেই অনুযায়ী মংলা থানাকে আগে ঘটনা সম্পর্কে জানিয়ে সহযোগিতা চাওয়া হয়।
– See more at: http://bagerhatinfo.com/news/11535/#sthash.2Z3zGTdK.dpuf
– See more at: http://bagerhatinfo.com/news/11535/#sthash.2Z3zGTdK.dpuf
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।