সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের কাছে জমা দেন। কমিটির প্রধান সহকারী বন সংরক্ষক চাঁদপাই রেঞ্জ (এসিএফ) আবুল কালাম আজাদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনে আগুনের ঘটনায় সঠিক কারণ খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি। তবে, আগুন লাগার ৫টি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করে ভবিষ্যতে বনে আগুন প্রতিরোধে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ১৬টি সুপারিশ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব চাঁদপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন পয়ষট্টির চিলা বনভূমিতে গত ২১ মে বেলা ১২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, ওই সময়ের মধ্যে আগুনে বনের প্রায় সাড়ে তিন একর এলাকা পুড়ে গেছে।
এ আগুন লাগাকে গ্রাউন্ড ফায়ার বলে উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে ঘটনাস্থলের মাটির ওপরে পড়ে থাকা লতাপাতা ও গাছের ডালপালা শুকিয়ে একেবারে পানিশূন্য হয়ে ছিল। এর মাঝে সৃ্ষ্টি হয় মিথেন জাতীয় দাহ্য গ্যাসের। এতে সামান্য বিড়ি সিগারেটের আগুনের ফুলকি থেকে আগুনের সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে।
তদন্ত কমিটি আগুন লাগার ক্ষেত্রে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন। অন্যদিকে আগুন লাগা রোধে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী ১৬টি সুপারিশ করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি।