বাগেরহাটে চুরির মামলায় জামিন পেলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম।
সোমবার দুপুরে বাগেরহাট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু তাহের তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেণ।
২০০১ সালের ৩ অক্টোবরের ঘটনায় চলতি বছরের ৭ মে দায়ের কারা এক যুবলীগ নেতার চুরির মামলায় আদালত আজ এ জামিনের আদেশ দেন।
মামলার বিবরনীতে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর সকালে বাগেরহাট সদর উপজেলার গেটাপাড়া ইউনিয়নের তৎকালীন যুবলীগের সভাপতি ও বর্তমান সদর থানা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেখ আবু মুুহিত গোরাই কান্দাপাড়া বাজারস্থ একটি দোকানের সামনে পৌছালে বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতির নেতৃত্বে কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। সেসময় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় তিনি।
এই সুযোগে ওই বছরের ৬ অক্টোবর রাতে আবু মুহিত গোরাইয়ের ১০ বিঘা একটি মাছের ঘেরের প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বাগদা, গলদা ও সাদা মাছ চুরি করে তার উপর হামলাকারীরা। পরদিন ৭ অক্টোবর বর্তমান জেলা বিএনপির সভাপতির লোকজন আবু মুহিতের আরেকটি ৮ বিঘার মাছের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেন এবং সাড়ে ৩ লাখ টাকার ইট জোর করে নিয়ে যায়।
তবে, ওই সময় আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কারণে প্রাণ রক্ষায় আত্মগোপনে থাকায় এঘটনায় সে সময়ে মামলা করতে পারেন নি বলে মামলার বিররনীতে উল্লেখ করেণ ওই যুবলীগ নেতা।
চলতি বছরের (২০১৪ সালের) ৭ মে তিনি মামলা এই চুরির মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ সালাম ছাড়া ১৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৩০/৩৫ জনকে আসামী করেছেন। এই মামলায় এম এ সালাম আজ জামিন লাভ করেছেন।
আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. ওয়াহিদুজ্জামান দিপু, বাগেরহাট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দল হাই, সাবেক সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান, এ্যাড আসাদুজ্জান সহ আরো কয়েকজন।