সাড়ে তিন বছর বয়ছের ছোট্ট মেয়ে নাঈমা আক্তার। শৈশবের দুরন্তপনায় মেতে থাকবার কথা থাকলেও কি যেন এক অজানা শঙ্কা তার চোখে মুখে।
সুখ বা অসুখ হয়তো এখনও ভালভাবে বোঝার বয়সই হয়নি ছোট্ট নাঈমার তবু, সে জানে নিজের অসুস্থতার কথা। শুধু বলতে পারে কি যেন এক রোগে অসুস্থ সে।
প্রায় এক মাস হলো শিশুটির হৃদপিন্ডে (হার্টে) ছিদ্র ধরা পড়েছে। চিকিৎসকরা বলছেন জরুরি ভিত্তিতে শিশুটিকে অপারেশন করানোর দরকার। কিন্তু অর্থের অভাবে গত ১০ মে শিশুটির পরিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিকিৎসা না করিয়ে ফিরে এসেছেন বাগেরহাটে।
শিশুটির চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় ২ লক্ষ টাকা। কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারটির পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব।
বাগেরহাট পৌরসভার সরুই পিসি কলেজ রোডের স্টাফ কোয়াটার এলাকার ছোট্ট একটি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে শিশুটির পিতা শহিদুল ইসলামের (শহিদ) সংসার।
ব্যাটারি চালিত অটোর ড্রাইভার শহিদের সংসার এমনিতে ভালই চলছিল। কিন্তু বর্তমানে ছোট মেয়ের এই অসুখের কারনে অর্থের অভাবে একদিকে যেমন পারছেনা তার চিকিৎসা করাতে, সেই সাথে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া বড় ছেলে জিহাদুলের শিক্ষা জীবনও পড়েছে হুমকির মুখে।
অসুস্থ শিশুটির মা জেসমিন আক্তার বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ছয় মাস বয়স থেকেই নাঈমার বুকে ব্যাথাসহ কিছু শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। তখন থেকেই বিভিন্ন সময়ে বাগেরহাটের অনেক ডাক্তার দেখিয়েও কোন রোগ ধরা পড়ছিলো না নাঈমার।
সবশেষ গত ফেব্রুয়ারিতে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে শিশু বিশেজ্ঞ ডা. রুকসানা পাভীন শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্যা ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেফার করেন।
নাঈমার পিতা শহিদুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সেখানে ডা. মো. জাহিদ হোসেন এর তত্তাবধানে নানা পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর শিশুটির হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। তখন ডাক্তারা তার হার্টে বোতাম পরাতে হবে বলে অপারেশন করতে বলেন। কিন্তু তার জন্য অনেক টাকর দরকার।
কান্না জড়িত কন্ঠে শহিদুল (শহিদ) বলেন, “এতদিন ধার-দেনা করে একমাত্র মেয়ের চিতিৎসার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখন এতো গুলো টাকা কিভাবে জোগাড় করব।”
তাই সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান লোকদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছেন তিনি।
নাঈমাকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
শহিদুল ইসলাম, সঞ্চয়ি হিসাব নম্বর- ০১৭১২২০০০০১৪৪৪
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, বাগেরহাট।
মোবাইল- ০১৮২৩ ৪০৮৫৯১।