সুন্দরবনের পাসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান বন্ধের দাবিতে বুধবার বাগেরহাটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বেলা ১১টা থেকে ওই অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
জানা গেছে, শুরু থেকে সুন্দরবনের পাদদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের প্রতিবাদ করা সংগঠনটি আগামী অক্টোবরে ঢাকা থেকে সুন্দরবন অভিমুখে ফের লংমার্চ কর্মসূচি সফল করতে গ্রহন করা নানা আয়াজনের অংশ হিসেবে জাতীয় কমিটির এ অবস্থান কর্মসূচি।
তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট শাখার সদস্য সচিব ফররুক হাসান জুয়েল বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বুধবারের অবস্থান কর্মসূচির বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার বেলা ১১টা থেকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কে দুই ঘন্টার এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। চলতি বছরে অক্টোবরে ঢাকা থেকে সুন্দরবন অভিমুখে ফের লংমার্চ সফল করতে নানা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ অবস্থান কর্মসূচি।
সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বন্ধের জন্য লংমার্চ সফল করতে সুন্দরবন সংলগ্ন জেলা গুলোর প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রচারণা চালানো হবে। চলতি মাসের মধ্যে সাতক্ষীরা, পিরোজপুর ও যশোর জেলা শহরে একই ভাবে অবস্থান কর্মসুচির পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সুন্দরবন রক্ষায় ২১ জুন খুলনায় বিভাগী কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছে। ১৮ থেকে ২০ আগস্ট সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা ঘুরে যাবে।
ফররুক হাসান জুয়েল আরো জাননা, বুধবারের কর্মসূচিতে জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, কেন্দ্রীয় নেতা সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, বজলুর রশিদ ফিরোজ, প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই সুন্দরবনের পাশে রামপালে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ ভাবে এবং মংলায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ওরিয়ন গ্রুপ’কে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে “মৈত্রি সুপার থারমাল পাওয়ার” প্রকল্প নামে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতমধ্যে এ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত ১হাজার ৮৩৪ একর জমির মধ্যে ৪২০ একর বালুভরাট করা হয়েছে। বর্তমানে এখন সেখানে অবকঠামো নির্মাণের জন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়া চলছে। গত বছর ৫ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংহ ওই বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এছাড়া জেলার মংলা উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে সুন্দরবনের আরও কাছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘ওরিয়ন গ্রুপ’ ৬৩০ মেগাওয়াটের আরো একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করতে জমিতে বালু ভরাটসহ কাজ শুরু করেছে।