নিখোঁজের ২৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি বাগেরহাটের ফকিরহাটে বিভাগীয় শিশু সদন থেকে হারিয়ে যাওয়া দুইটি শিশু।
গত ১২ মে উপজেলার মূলঘরে অবস্থিত বিভাগীয় শিশু সদনের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সাকিল শেখ (১৩) ও সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র রিয়াজ শেখ (১৩) নিখোঁজ হয়। এব্যাপারে ফকিরহাট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে কর্তপক্ষ।
নিখোজ সাকিল শেখ বাগেরহাটসদর সদর উপজেলার চাপাতলা গ্রামের মৃত সোহরব শেখের ছেলে এবং রিয়াজ শেখ জেলার ফকিরহাট উপজেলার সোনাখালী এলাকার মৃত মঞ্জুর শেখের ছেলে।
ডায়েরীর সূত্রে জানা যায়, গত মাসের ১২ মে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে শিশু নিবাসের ওই দুই ছাত্র কক্ষ থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। নিখোজ ছাত্রদ্বয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে বিভাগীয় শিশু সদনের বড় ভাইয়া মোঃ রুহুল আমিন ফকিরহাট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন (যার নং-৫৩৩, তাং-১৪/০৫/২০১৪ইং)।
জিডিতে নিখোঁজ সাকিলের নাম থাকলেও রহস্যজনক কারনে একই সাথে নিখোঁজ হওয়া অপর ছাত্র রিয়াজের নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে শাকিল শেখের মাতা ফিরোজা বেগম ২৫ মে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। এছাড়া শাকিলের মা ফিরোজা বেগম ও রিয়াজের দাদী লতিফা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরে নিখোঁজ শিশু দু’টির সন্ধানের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদনের একাধিক সুত্র জানায়, শিশু নিবাস থেকে নূর ইসলাম নামে দীর্ঘদিন আগে বহিস্কৃত জনৈক্য এক ছাত্র ঘটনার দু’দিন আগে শিশু নিবাসের অপর এক ছাত্র আশিকুর রহমানের নিকট এসে। এরপর নূর ইসলাম বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সাকিল ও রিয়াজ কে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়।
অপরদিকে, অনেকেই ধারনা করছেন নূর ইসলামের সহযোগী হিসেবে আশিকুর রহমান শিশু দু’টি নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করেছে। স্থানীয়রা শিশু সদনের এক জন এসিষ্ট্যান্ড সুপারকেও সন্দেহের চোখে দেখছেন অনেকে।
এ ব্যাপারে ওই এসিষ্ট্যান্ড সুপার জানান, নিখোজ শিশুদের বিভিন্ন স্থান সন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অবিলম্বে তাদের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশ্বাবাদ জানান তিনি।
শিশু সদনের কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ রাকিবুল হাসান নিখোঁজের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশু দু’টি যশোর একটি হোটেলে রয়েছে বলে সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে তাদের আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে ফকিরহাট বিভাগীয় শিশু সদনের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবব্যবস্থপনা ও খেয়ালীপনার কারনে শিশু নিবাসের শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে। ভয়ে এসব বিষয় মূখ খুলতে সাহস পায় না ভুক্তভোগী ছাত্ররা।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তিপক্ষের সু-দৃষ্টিা কামনা করছে ভুক্তভোগীরা।