ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে নির্মানাধীন বিতর্কিত রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মান কাজ আগামী ৩ বছরের মধ্যে শেষ হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান।
তিনি আজ দুপুরে মংলা বন্দরের ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই এবং ভিডিও কনফারেন্সিং সংযোগের উদ্বোধন কালে এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এ বিদ্যুৎ নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে নতুন নতুন আরো অনেক শিল্প কারখান স্থাপিত হবে। ফলে মংলাকে অর্থনৈতিক জোন হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়ন ঘটবে।
মংলা বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে অচিরেই রেল লাইন স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ এবং বন্দর সংশ্লিষ্ট সব চলমান প্রকল্প গুলোর দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আবার দ্রুত শুরু করা হবে খান জাহান আলী বিমান বন্দরের নির্মাণ কাজ।
ড. মশিউর আরো বলেন, মংলা ইপিজেড এলাকায় নতুন কিছু শিল্প কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। শিল্প কারখানার সুবিধার্থে গ্যাস সংযোগ স্থাপন করা হবে। আর এতে করে এ অঞ্চলে ব্যক্তি মালিকানা অনেক শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে, সৃষ্টি হবে ব্যাপক কর্মসংস্থানের। বেকার সমস্যা দুরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হবে।
তবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্থানীয় (বাগেরহাট-৩ আসনের ) সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক ১৯৯৫ সাল থেকে দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় পার হলেও খানজাহান আলী বিমান বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিমান বন্দরের কাজ শুরু করা না হলে স্থানীয় জমির মালিকদের জমি ফেরত দিতে হবে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান রামপাল তাপ বিদুৎ কেন্দ্র, মংলা বন্দর পশুর চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, বন্দর সংলগ্ন খানজাহান আলী বিমান বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন।
এসময় বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আবদুল খালেক, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এইচ আর ভুইয়া, পরিচালক (প্রশাসন) হাওলাদার জাকির হোসেন, বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের সচিব নুরুল আলম, বোর্ড ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাকরুজ্জামানসহ বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মংলা বন্দরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে জরুরি বৈঠক করেন তিনি।