বাগেরহাটের কচুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম (৫০)কে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সিনেমা হল এলাকায় এঘটনা ঘটে।
শেখ নজরুল ইসলাম কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং কচুয়া সদরের কচুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার দাস বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন নজরুল ইসলামকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে। তবে ঘাড়ের জখমটি গুরুতর। তাঁকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, শনিবার ভোর কচুয়া-সাইনবোর্ড সড়কের ওই এলাকায় পৌছলে আগে ওৎপেতে থাকা ৪-৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত নজরুল চেয়ারম্যানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তার ডাকচিৎকারে ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
ওই এলাকায় ১৬ শতক একটি জমি নিয়ে শহিদ শেখ নামে এক ব্যক্তির সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল বলেও জানান তিনি।
এর প্রেক্ষিতে প্রায় ১ মাস আগে নিম্ন আদালত নজরুল চেয়ারম্যানকে শহিদ শেখ নামে ওই ব্যাক্তি জমি বুঝিয়ে দিতে বলেন। সে সময় তিনি (নজরুল চেয়ারম্যান) দেশের বাইরে ছিলেন। তার অবর্তমানে শহিদ শেখ ওই জমিতে দেয়াল এবং স্থাপনা নির্মানের জন্য ভিত তৈরী করেণ। এদিকে বিদেশ থেকে ফিরে নজরুল চেয়ারম্যান উচ্চ আদলত থেকে এই জমিতে স্থিতি অবস্থার নির্দেশ আনেন।
ওসি আরো বলেন, ওই বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা নজরুলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে প্রাথমিভাবে ধারনা করা হচ্ছে।
এব্যাপারে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আলী রেজা বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, প্রতিপক্ষরা জেলা বিএনপির ওই নেতার উপর পরিকল্পিতভাবে হামলায় চালিয়েছে। হামলায় ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবী জানান তিনি।