বাগেরহাটের কচুয়ায় এক গৃহবধুকে হত্যার দায়ে স্বামী মহিত শেখকে (৪৭) মৃত্যু দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসএম সোলায়মান এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মহিত শেখ জেলার কচুয়া উপজেলার চরকাঠি গ্রামের মৃত হাসেম শেখের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক।
২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রী সাফিয়া বেগমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৩ অক্টোবর সকালে ভিক্টিম সাফিয়া বেগম তার বোন সুফিয়াকে দেখতে পার্শবর্তি গ্রাম নরেন্দ্র পুরে তার বাবার বাড়ি যান। ওই দিন বিকালে স্বামীর বাড়ি ফেরার সময় তার আরেক বোন আনজিরার মেয়ে খাদিজা তার সাথে তাদের বাড়ি বেড়াতে আসে। ওই দিন রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে সাফিয়া তার ছেলে, মেয়ে এবং বোনের মেয়েকে নিয়ে বড় ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। আর তার স্বামী মহিদ শেখ রান্না ঘরে ঘুমায়।
রাত ১১টার দিকে আসামি মহিদ তার স্ত্রীকে ডাকলে স্ত্রী “ছোটরা ঘুমাক” বলে দেরিতে আসার কথা বললে মহিত ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্ত্রীকে মারধর শুরু করে। এক পর্যয়ে স্ত্রী সাফিয়া বেগমের চুলে মুটকি ধরে টনতে টানতে রান্না ঘরে এনে প্রচন্ড মারধর করে। এতে এক পর্যয়ে ভিক্টিম সাফিয়া বেগমের ঘাড় মটকে যায় এবং মারা যান।
পরে সে তাকে তার নিজের সন্তান এবং বেড়াতে আসা শ্যালিকার মেয়ের পাশে শুইয়ে রেখে আসেন। পরদিন সকালে নিহতের বোনের মেয়ে খাদিজা তার মামা বাড়ি গিয়ে জানালে তারা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এঘটনায় ১৪ অক্টোবার নিহতের ভাই মো. শহিদ শেখ বাদি হয়ে কচুয়া থানায় মহিত শেখকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবার কচুয়া থানার এস আই মো. শফিকুল ইসলাম আদালতে মামলার অভিযোগ পত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বাগেরহাট আদালতের সরকারি কৌশলী (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাড. মোহম্মদ আলী, আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাড. অজিয়ার রহমান পিকলু।