মুক্তিপণের দাবিতে সুন্দরবনে আবারও জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধায় পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর ফরেস্ট ষ্টেশনের তাম্বুলবুনিয়া এলাকা থেকে ৮লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ৮ জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে।
সুন্দরবনের বনদস্যু ‘ছোট ওরফে আওয়াল’ ও ‘হারুন বাহিনী’ যৌথভাবে এ অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জেলেদের সূত্রে জানা গেছে।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে পাঁচ জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের খালেক হাওলাদারের ছেলে রবিউল ইসলাম, রহমান হাওলাদারের ছেলে জাকারিয়া, শাহআলম চৌকিদারের ছেলে রাসেল, মালেক বয়াতীর ছেলে আ. খালেক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উত্তর রাজাপুর গ্রামের কয়েকজন মৎস্য ব্যবসায়ী জেলেদের বরাত দিয়ে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর রাজাপুর এলাকার জেলেরা বনের তাম্বুলবুনিয়া খালে মাছ ধরছিলেন। এমন সময় যৌথ দস্যু বাহিনীর ১৫-১৬ জন সদস্য জেলেদের নৌকায় হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে ৮ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে নিয়ে যায়।
পরে দস্যুরা মুঠোফোনে অপহৃত ওই জেলেদের মহাজনদের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে ৮ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি তারা বনবিভাগকে অবহিত করেছেন বলেও জানান তারা।
এব্যাপারে ধানসাগর ফরেস্ট ষ্টেশনের কর্মকর্তা (এসও) মো. আব্দুল বারি বাগেরহাট ইনফোকে জানান, জেলে অপহরণের ঘটনাটি তারা শুনেছেন। ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে কোস্টগার্ডকে খবর দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত শুক্রবার (২৩ মে) মংলা পশুর চ্যানেলের হারবাড়িয়া এলাকা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে ৫০ জেলেকে অপহরণ করে সুন্দরবনের বনদুস্য “আওয়াল ওরফে ছোট বাহিনী”।
এর পর সোমবার পর্যন্ত অপহৃতদের মধ্যে ৪০ জেলে মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পায়। আর মঙ্গলবার বিকেলে বনের কৈখালী এলাকা থেকে কোস্টগার্ডের সদস্যরা অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করে।
সে সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে দস্যুরা বনের গহীন পালিয়ে গেলেও তাদের আস্তানা থেকে ৩ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৬ রাউন্ড গুলি উদ্বার করা হয়ে বলে জানান কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আলাউদ্দিন।
সময় জেলেদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বন সংলগ্ন খাল থেকে তাদের (জেলেদের) পাঁচটি নৌকাও উদ্ধার করা হয় বলে জানান কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের ওই কর্মকর্তা।