বাগেরহাটের ফকিরহাটে যাত্রীবাহী বাস এবং মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের চালক ও একই পরিবারের ৭ জনসহ আট যাত্রী নিহত হয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের উপজেলার তৈয়ব আলী বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- খুলনার রায়েরমহল এলাকার সৈয়দ বিল্টু এর ছেলে সৈয়দ মইন উদ্দিন (২৪), তার স্ত্রী মুন্নি বেগম (১৮), তাদের চার মাসের বাচ্চা মাহিন, মইনের খালা দোলা (৪০), তার মেয়ে আফছানা মীম (১৮), মাইক্র বাসের ড্রাইভার জুয়েল (২৮), পুলিশ কনেস্টেবেল আমির হোসেন সাগর এবং মাইক্রোবাসের মালিক এনায়েত হোসেন (২২)।
নিহতদের সবার বাড়িই খুলনা জেলার রায়ের মহল এলাকায়। তাদের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল মান্নান ফারাজী ও ফকিরহাট থানার ওসি এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, মঈনসহ নিহতরা শনিবার সকালে খুলনা থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলিগাঁতি গ্রামে মঈনের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে যান।
বিকেলে তারা খুলনা ফিরছিলেন। তৈয়বের বটতলায় পৌঁছলে খুলনা থেকে মাদারীপুরগামী রূপসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ৬ যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হন।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত ৪ জনকে ফকিরহাট হাসপাতালে নিলে দুই জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরো অন্তত্য ২৫ জন। আহতদের ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের পর থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিলো। সন্ধ্যায় বাগেরহাটের চিতলমারী থেকে খুলনাগামী একটি মাইক্রোবাস মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাটের তৈয়বের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মাদারীপুরগামী রূপসী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন, বাগেরহাট হাইওয়ে পুলিশ, ফকিরহাট থানাপুলিশ ও বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি উদ্ধারকারী ইউনিট উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে।
পুলিশ বাসটি আটক করেছে। ঘটনার পর অন্তত এক ঘণ্টা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার পর যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. শুকুর আলী ও পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।