পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মাঝারী ধরণের উত্তাল রয়েছে সাগর।
এজন্য সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০১ (এক) নম্বর দুরবতী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া দপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
এটি আজ মধ্যরাতে (২২ মে, ২০১৪ ইং তারিখ) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ -দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯০ কিঃ মিঃ দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে অবস্থান করছিল (১৬.২০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৭০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিঃ মিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৫০ কিঃ মিঃ পর্যšত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাগর মাঝারী ধরনের উত্তাল রয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর সমূহকে ০১ (এক) নম্বর দুরবতী সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যšত গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হচ্ছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে বুধবার সন্ধা ৬ টায় নিম্নচাপটি (২১ মে, ২০১৪ ইং তারিখ) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬৫ কিঃ মিঃ দক্ষিণে অবস্থান করছিল (১৬.০০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৫০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)।
নিম্নচাপটি আরও আরও ঘণীভূত হয়ে ঘুর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।