সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঘুলিশা খালী ও আমুরবুনিয়া ফরেষ্ট ক্যাম্পের (টহল ফাঁড়ি) মাঝামাঝি বাইশেরছিলা এলাকায় আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার সন্ধার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বনজীবীরা সুন্দরবনের গাছ-পালায় দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে বন বিভাগকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের নিয়ে চাঁদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন।
ঘটনাস্থল থেকে ধানসাগর ফরেস্ট স্টেশনের কর্মকর্তা আব্দুল বারিক রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, বর্তমানে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আছে। তবে এখনও ধোয়া দেখা যাচ্ছে। নদীতে ভাটার কারনে সুন্দরবনের খালে পানি না থাকায় ঘটনা স্থালের একদম কাছে যাওয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
ঘটনা স্থলে উদ্দেশে যাত্রা কারা চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ রাত সাড়ে ৯টায় মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে জানান, তিনি এখনো ফায়ার সার্ভিস ও বন কর্মকর্তা কর্মচারিদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন নি। তাছাড়া আগুনে সুন্দরবনের কি পরিমান এলাকার গাছপালা পুড়ে গেছে সে বিষয় তাৎক্ষনিক ভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
পূর্ব সুন্দরবনে মরাভোলা নদী এলাকা পলি জমে নদীর দু’পাড় উচু হয়ে যাওয়ায় শুস্ক মৌসুমে পাতা পড়ে ও বনের গাছপালার শিকড়ে মরে একধরনের গ্যাসের সৃষ্টি হয়। কোন বনজীবীর সিগারেট বা মৌয়ালদের ফেলে দেয়া আগুন ওই গ্যাসের সংস্পর্শে এলে বনে আগুন ধরে যায়। ওই এলাকায় প্রায় প্রতি বছরই এরকম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বলেও জানান তিনি।
পূর্ব সুন্দরবন বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আমীর হোসাইন চৌধুরী রাত ৯টা ৪৫মিনিটে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে রাওনা দেওয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এখন ঘটনা স্থালের কাছাকাছি আছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল বাইশেরছিলা এলাকায় অল্প কিছু সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদ জানান তিনি ।